২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০১৭
রাজধানী ঢাকায় বিরোধী দল বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে যে জনসভা করার উদ্যোগ নিয়েছিল, পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপি এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। বিএনপি নেতারা সরকারের এই পদক্ষেপকে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের আরেকটি নজির বলে বর্ণনা করেছেন।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের সমর্থকদের ওপর সরকার দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তারা। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, অতীতের সহিংস কর্মকাণ্ডের অভিজ্ঞতা থেকেই বিএনপিকে সভা করতে দেয়নি পুলিশ।
সকাল থেকেই নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের আশেপাশে নেয়া হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অতিরিক্ত ব্যবস্থা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ পরিবেষ্টিত প্রায় নেতা-কর্মীশুন্য কার্যালয়ে বসে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের জানান, জনসভা করতে না দেয়ার প্রতিবাদে আগামীকাল সারা দেশে বিক্ষোভ করবেন তারা।
রিজভী বলেন, ‘সরকার গায়ের জোরে গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে দমন করছে’। গত বৃহস্পতিবার সারা বাংলাদেশে কালো পতাকা মিছিল করতে গিয়েও বিএনপি বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও সরকারি দলের হামলা ও বাধার মুখে পড়ে বলে উল্লেখ করেন রিজভী।
তিনি জয়পুরহাট, যশোর, নওগাঁসহ বিভিন্ন স্থানের কথা উল্লেখ করেন যেখানে বিএনপির মিছিলে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে তার অভিযোগ।
বরিশালে বিএনপির নারী নেত্রীদের উপর সরকারি দলের লোকজনের একটি হামলার কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। এই ঘটনাটি গত দুদিন ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিক অঙ্গন ও গণমাধ্যমে আলোচিত হচ্ছে।
ঘটনাটির একজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং হামলার শিকার বরিশাল মহানগর মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, ‘ওইদিন তারা কালো পতাকা মিছিলের জন্য শহরের বিএনপি কার্যালয়ে জড়ো হচ্ছিলেন, এসময় শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ধাওয়া করলে তারা কার্যালয়ে ঢুকে যান’।
দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ থাকার পরে পুলিশের আশ্বাসে তাদের সঙ্গেই তারা বেরিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘বের হওয়ার পর যখন আমরা গেট পর্যন্ত আসি, তখন ছাত্রলীগ যুবলীগ শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদেরকে ঘিরে ধরে। তারা শ্লোগান দেয়া শুরু করে। তখন দেখলাম আমাদের পেছনে আর পুলিশ নেই’।
‘ওরা আমাদের ঘিরে ধরলো, পেছন থেকে পুলিশ সরে গেল, তারপর ওরা আমাদের ওপর হামলা করল’।
তার সঙ্গে সেদিন ছিলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির একজন নারী নেত্রী কামরুন্নাহার রোজি। তার উপর হামলার বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি একটি কলাপসিবল গেট আঁকড়ে আছেন আর চারদিক থেকে অসংখ্য যুবকের কিল ঘুষি ধেয়ে আসছে তার দিকে। একটি ছবিতে তাকে চুল ধরে টেনে নিতেও দেখা যাচ্ছে। আরেকটি ছবিতে মিজ রোজি মাটিতে পড়ে আছেন, তার চারিদিকে অসংখ্য পা, গণমাধ্যম কর্মীদের ছবি তুলতেও দেখা যাচ্ছে।
ঘটনাটি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের নজরে আনা হলে তিনি এটিকে সাধারণ মানুষের রোষানল বলে বর্ণনা করেন।
কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দেশের অন্যান্য এলাকায় যেসব হামলার শিকার হয়েছে বিএনপি সেগুলোও হানিফের ভাষায় জনরোষ।
‘অতীতের কর্মকাণ্ডের ফলাফল হিসেবেই জনগণের রোষানলে তাদের পড়তে হয়েছে। এখানে সরকারি দল হিসেবে আমাদের বলার কিছু নেই’ এমনটাই বলন হানিফ।
বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছে, তাতে রয়েছে, সারা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়, থানায় এবং ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিচারে এই কর্মসূচি দলটি কতটা পালন করতে পারবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
সূত্র : বিবিসি
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D