তারাপুর মৌজার স্থাপনা রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৩:৩৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০১৬

অন্ন, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অধিকার রক্ষার দাবীতে রাজপথে নেমেছেন হাজারো মানুষ। সন্তানের মাথা গোজাঁর শেষ আশ্রয়স্থল কেড়ে না নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

সিলেটবাসীর ব্যানারে বৃহস্পতিবার ‘রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, মদন মোহন কলেজ ক্যাম্পাস, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষায় বিশাল শান্তিপুর্ণ মানব বন্ধন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। মানব বন্ধনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে দলে দলে অসংখ্য মানুষ এসে যোগদান করেন। নগরীর মদিনা মার্কেট থেকে সুবিদ বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত মানববন্ধনে বৃহত্তর পাঠানটুলা এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি আব্দুর রাজ্জাক খান রাজা মিয়ার সভাপতিত্বে ও মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম আহমদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াস, সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাস, টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শহীদ আহমদ, রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এটি এম এ জলিল, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আলম খান মুক্তি, সমাজসেবী আলহাজ¦ ফজলুর রহমান, অধ্যাপক আবু তাহের, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার কবির সেলিম, এডভোকেট বদরুল হক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা তরুণ সমাজসেবী সাব্বির খান, ব্যবসায়ী করিম উল্লাহ হেলাল, শ্রমিকলীগ নেতা মকবুল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা হেলাল আহমদ, শফিকুর রহমান মেম্বার, আওয়ামীলীগ নেতা শিথিল দেব, সিটি কর্পোরেশনের ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম নজু, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শাহাদাত খান দবীর ও রেহান উদ্দিন, স্বেচ্ছা সেবকদল নেতা আজিজ খান সজিব, ছাত্রলীগ নেতা সাফায়াত খান, দিলওয়ার আহমদ, মোনায়েম খান ময়নুল প্রমুখ।

সভায় বিশিষ্টজনেরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ঐতিহ্যবাহী মদন মোহন কলেজের তারাপুর ক্যাম্পাস আজ বিপন্ন হতে চলেছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ ধ্বংসের পথে। পাশাপাশি লাখ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবাদানকারী জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। যে প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কয়েক হাজার চিকিৎসক উপহার দিয়েছে, সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকার সুযোগ দিচ্ছে, ৭ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সুযোগ করে দিয়েছে-সেই প্রতিষ্ঠান এবং আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে আজ আমরা চরম অনিশ্চয়তায়। বক্তারা আরো বলেন, সবচেয়ে হুমকির মুখে পড়েছে তারাপুর মৌজায় গড়ে উঠা বসতবাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কয়েকশ’ পরিবার বাসস্থান হারিয়ে পথে বসে যাবে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার উপক্রম। এই অবস্থায় পথে বসা ছাড়া এলাকাবাসীর কোনো উপায় নেই। বক্তারা আরো বলেন, আমরা বিশ্বাস করি-যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের একজন মানুষও না খেয়ে এবং গৃহহীন থাকবে না, সেখানে আজ কয়েকশ’ পরিবার বৈধ পন্থায় ভূমি ক্রয় করে সরকারকে রাজস্ব দিয়ে, পানির বিল, গ্যাস বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স দিয়ে বসবাস করে আসছে। দেড় যুগ পরে এসে উচ্ছেদ করে দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত এই মানুষদের সাগরে ভাসিয়ে দেয়া ছাড়া কিছু নয়। বক্তারা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন। এছাড়া, মহামান্য প্রধান বিচারপতির কাছে আকুল আবেদন জানান, সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের পরও মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইলে অনেক সময় ক্ষমা করে দেয়া হয়। তারা তারাপুর মৌজায় বসবাসকারীদের বাসস্থান, কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত না করা এবং মেডিকেল কলেজ, মদন মোহন কলেজ এর বিল্ডিং রক্ষাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষায় সুদৃষ্টি কামনা করেন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট