৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির আগে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তবে মন্ত্রীর সেই কথা বাস্তবে রূপ নেয়নি। বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুরোধ উপেক্ষা করে ভোজ্যতেল সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম ফের বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাড়তি দামের বোতলের তেল ইতোমধ্যে বাজারে চলে এসেছে। বোতলের সয়াবিন তেলের পাশাপাশি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল ও পাম অয়েল।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুদিন ধরে তেলের দাম বাড়তি। বোতলের সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। পাম অয়েলের দামও কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়েছে।
ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, নতুন আসা বোতলের এক লিটার তেলের গায়ের (লেভেলে লেখা) মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৬৮ টাকা, যা আগে ছিল ১৬০ টাকা। আর পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮৫ থেকে ৮০০ টাকা, যা আগে ছিল ৭৬০ টাকা।
অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেলের কেজি এখন খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, যা আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। পাম অয়েলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, তা আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।
খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. মিজানুর বলেন, নতুন দামের সয়াবিন বাজারে চলে এসেছে। নতুন দামের বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল আগের থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গায়ের মূল্য ১৬৫ টাকা, আমরা বিক্রি করছি ১৬০ টাকা। আগে এ তেল ১৫৫ টাকা বিক্রি করেছি। একইভাবে পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দামও বেড়েছে।
মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. আফজাল বলেন, কয়েকদিন ধরে তেলের দাম বাড়তি। আগে যে খোলা সয়াবিন তেলের কেজি ১৫০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন তা ১৫৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। পাম অয়েলের দামও কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে গেছে। বোতলের গায়ের মূল্যও বাড়ানো হয়েছে।
রামপুরায় ১৬০ টাকা কেজি খোলা সয়াবিন বিক্রি করা আলামিন বলেন, পাইকারিতে তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। দুদিন ধরে বেশি দামে তেল কিনতে হচ্ছে। বাড়তি দামে কিনে আনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
ব্যবসায়ীরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে দিলেও গত ১৯ জানুয়ারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, আগামী ১৫ দিনে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে না। ৬ ফেব্রুয়ারির পর সিদ্ধান্ত হবে তেলের দাম বাড়বে না কমবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের বড় সুবিধা তাদের ডিউটি স্ট্রাকচার আমাদের চেয়ে কম। আমাদের যেখানে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ, সেখানে তারা ৫ শতাংশ দেয়। এসব বিবেচনা করে আমাদের দেখতে হবে। এজন্য আমি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি, একটু সময় দিতে। আমরা আগামী ৬ তারিখ (ফেব্রুয়ারি), মানে ১৬ দিন পর বসে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হলে বাড়াবো। কমানোর প্রয়োজন হলে কমাবো। সবকিছু বিবেচনা করে যেটা সুবিধাজনক হয়, সেটি করা হবে।
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা নিজেরা নিজেরা কিছু দাম বাড়িয়েছিল, আমাদের না জানিয়ে। সেটাও তারা (ব্যবসায়ী) বলেছে কনসিডার করবে। তবে আন্তর্জাতিক মার্কেট, ডিউটি স্ট্রাকচার সব দেখে ১৫ দিন পর বসে সিদ্ধান্ত নেবো। সামনে রমজান, রোজার ঈদও আছে। সেজন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি, তারা যেন স্বাভাবিকভাবে এলসি ওপেন করে।
এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার কথা উল্লেখ করে নতুন দাম কার্যকরের দাবি জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। পরে সেটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ট্যারিফ কমিশনে পাঠায় মন্ত্রণালয়।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D