২৮শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২০
আরটি-পিসিআর পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে একটি বিশেষ রুম(স্পেস) বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এ স্পেস।
ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: মঈনুল হক এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত একটি চিঠির প্রেক্ষিতে এ কলেজে একটি স্পেস আরটি-পিসিআর-এর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এ রুম বুঝে নিয়েছেন। তিনি জানান, একটি পুরনো মেডিকেল কলেজ হিসাবে এ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলজি বিভাগে অনেক প্রশিক্ষিত শিক্ষক রয়েছেন। কলেজের পুরনো একটি পিসিআর মেশিনও রয়েছে। তবে, আধুনিক প্রযুক্তির পিসিআর স্থাপন ও বায়ো-সেফটি নিশ্চিতের পর এখানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা চালানো হতে পারে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক(রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা: আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, সিলেটে আরটি পিসিআর স্থাপন করতে আরো কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজের একটি সূত্র জানায়, সিলেট একটি প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা। তবে, আইইডিসিআর-এর পক্ষ থেকে বুধবার ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে করোনা পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে-তাতে সিলেট মেডিকেল কলেজের নাম নেই। এ নিয়ে সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
সিলেট নগরীর দরগাগেইট চন্দনটুলার বাসিন্দা কাউসার চৌধুরী প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে আরটি-পিসিআর এর পরীক্ষাগার চালুর উদ্যোগ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরীক্ষার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও স্বীকৃত পদ্ধতি হচ্ছে আরটি-পিসিআর যাতে আরএনএ শনাক্ত করার মাধ্যমে সংগৃহীত নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়। নমুনা হিসেবে গলা থেকে সংগৃহীত লালা (Throat swab), নাসোফেফেরেঞ্জিয়াল সোয়াব (সর্দি) বা ক্ষেত্রবিশেষে কফ ব্যবহার করা হয়। ভাইরাসজনিত রোগ নির্ণয়ে আরটিপিসিআর একটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি, যার সুবিধা বাংলাদেশের অনেক হাসপাতালে বিদ্যমান আছে প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে। সঠিকভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করে নির্ভুলভাবে প্রতিবেদন প্রদান করতে সক্ষম বিশেষজ্ঞও আছেন যথেষ্ট সংখ্যায়।
জানা গেছে, আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন হয় চারটি উপাদান: ১. নমুনা সংগ্রহের উপযোগী পাত্র ও ব্যবস্থা, ২. সংগৃহীত নমুনা থেকে ভাইরাসের আরএনএ পৃথক করার যন্ত্র, ৩. পিসিআর মেশিন এবং ৪. প্রয়োজনীয় রিএজেন্ট বা কিট। এই চার উপাদানের মধ্যে প্রথম তিনটি বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালের পরীক্ষাগারে যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান আছে। আর চতুর্থ উপাদান, অর্থাৎ রিএজেন্ট বা কিট নির্দিষ্ট উৎস বা উৎপাদনকারীর কাছ থেকে দ্রুততম সময়ে সংগ্রহ করা সম্ভব। করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আরটি পিসিআর রিএজেন্ট বা কিট যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি থেকে সংগ্রহ করা যায়, যেমনটি আইইডিসিআর বর্তমানে করছে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D