৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২৫
সালিসীদের বাঁধার মুখে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীর পরিবার আইনি সহায়তা নিতে পারছেন না।
এঘটনায় অভিযুক্ত মানিক লাল দাস (৩০) সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের পুটকা গ্রামের সুদর্শন দাসের গুণধর ছেলে।
শনিবার ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় এলাকার লোকজন জানান, শাল্লার প্রত্যন্ত এলাকায় স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া দরিদ্র পরিবারের এক শিশু কন্যাকে তাদের বাড়ির পাশেই মায়ের সামনে হত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধায় উপজেলার পুটকা গ্রামের বখাটে মাদকাসক্ত মানিক লাল দাস জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার রাতেই পুটকা গ্রামে থাকা ভিকটিমের এক আত্বীয়ের বাড়িতে সালিস বৈঠকে বসেন গ্রামের তিন পাড়ার কয়েকজন প্রভাবশালী সালিসীগণ।
ওই সালিস বৈঠকে স্থানীয় ইউপি সদস্য দ্বিজেন্দ্র সহ গ্রাম্য সালিসী রণজিৎ সরকার, বকুল দাস, বিকাশ দাস, সচিন্দ দাস, রানু দাস, কৃষ্ণপদ দাস, রাজ কুমার দাস, সোম চাঁদ দাস, সুনিল দাস, ইন্দ্রজিৎ দাস, সজল দাস, আশিষ দাস, কেনু দাস সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
তবে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত প্রভাবশালী পরিবারের বখাটে মানিক লাল দাসকে সালিস বৈঠকে আনা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে সালিসীগণের সামনে মানিক লাল দাস উপস্থিত হলেও ছিলেন নেশাগ্রস্থ্য। ভবিষ্যতে এ ধরণের আর কোন ঘটনা ঘটাবে না বলে মানিক ভিকটিমের পরিবার যেন থানায় গিয়ে অভিযোগ না করে এসব বলে কোন রকম ধামাচাঁপা দিয়ে সালিসের সমাপ্তি ঘটে ওই রাতে।
তবে এ ধরণের ঘটনা ধামাচাঁপার বিষয়টি কোন কোন সালিসীগণ এমনকি গ্রামের মানুষজন অনেকটা উদ্ভেগ প্রকাশ করে বললেন, এঘটনার পুর্বেও গ্রামে কমপক্ষে তিনটি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটিয়েছে মানিক লাল দাস। বরাবরই পারিবারীক প্রভাবে প্রতিটি ঘটনা এভাবেই ধামাচাঁপা দেয়া হয়েছে।
শনিবার শাল্লার পুটকা গ্রামে গেল বৃহস্পতিবার রাতে সালিসে উপস্থিত থাকা রণজিৎ সরকার বলেন, সালিসে আমি একা নই ইউপি সদস্য দ্বিজেন্দ্র বাবু সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সালিসীগণ গ্রামবাসীকে নিয়ে সালিসে বসার পর অভিযুক্ত মানিককে সালিস বৈঠকে উপস্থিত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নেশাগ্রস্থ্য হয়ে সালিসীগণ ও গ্রামবাসীর সামনে উপস্থিত হয়েছেন মানিক লাল দাস।
শাল্লার পুটকা গ্রামে সালিস বৈঠকে থাকা বিকাশ দাস বলেন, ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি এভাবে ধামাচাপা দেয়া আদৌ ঠিক হয়নি। তিনি আরো বলেন, গ্রামের অনেক নারী, কিশোরী, শিশুকন্যারা মানিক লাল দাসের ভয়ে শঙ্কিত হয়ে বসবাস করছেন।
শাল্লায় প্রত্যন্ত গ্রামে যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকন্যা ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বললেন, এরকম ঘটনা শুনে মর্মাহত হয়েছি, ভিকটিমকে আইনি সহায়তা দিতে আইন শৃস্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করি, যেন ভবিষ্যতে এ ধরণের অপকর্ম করার মত দু:সাহস দৃষ্টতা যেন কেউ দেখাতে না পারে, এসব ঘটনা যেন আর দেশবাসীকে দেখতে না হয়।
শনিবার ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর পরিবার জানায়, আমরা আইনি সহায়তা পেতে থানায় অভিযোগ করতে চাইলেও গ্রাম্য সালিসীগণের কারো কারো নিষেধ থাকায় থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে পারছিনা।
শনিবার সকালে জানতে চাইলে শাল্লা থানার ওসি মো..শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চালিয়েও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত মানিক লাল দাস
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D