বকেয়া মজুরি ও রেশনের দাবিতে সিলেটে চা শ্রমিক সমাবেশ

প্রকাশিত: ১০:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২৫

বকেয়া মজুরি ও রেশনের দাবিতে সিলেটে চা শ্রমিক সমাবেশ

বড়জান, কালাগুলসহ সকল বাগানের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও রেশন পরিশোধ, অগণতান্ত্রিক ‘গেজেট-২৩’ বাতিল, দৈনিক মজুরি ৫শ টাকা প্রদান এবং ভূমি অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন।

বুধবার (১২ মার্চ) বিকালে সিলেট শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংগঠনের সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক অজিত রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সাংগঠনিক কমিটির সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাস, হিলুয়াছড়া চা বাগানের রবি মাল, মালনীছড়া চা বাগানের নমিতা রায়,লাক্কাতুরা চা বাগানের রনু বাউরি , দলদলি চা বাগানের শিপন দাশ প্রমুখ। সমাবেশ পরবর্তীতে একটি মিছিল আম্বরখানা পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘দীর্ঘ ১২ সপ্তাহ ধরে কালাগুল, বড়জানসহ সিলেটের ৪টি চা-বাগানের শ্রমিকেরা মজুরি থেকে বঞ্চিত, ৬ সপ্তাহ ধরে তাঁরা রেশনও পাচ্ছেন না। এতে কয়েক হাজার চা-শ্রমিক পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বস্তুত এই সংকট তৈরি হয়েছে বাগান মালিকের অনুপস্থিতির কারনে। সাধারণত এ সকল ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মজুরি নিশ্চিতের দায়িত্ব সরকার বা মালিকদের সংগঠকদের। ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা ইতিমধ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেও সমাধান পাননি। তাই অবিলম্বে বড়জান,কালাগুলসহ সকল বাগানের চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও রেশন পরিশোধ করা জরুরি। একই সাথে আওয়ামী শাসনামলে অগণতান্ত্রিক পন্থায় প্রণীত চা শ্রমিকদের ‘গেজেট-২৩’ বাতিল করতে হবে। এ গেজেটে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০টাকা নির্ধারণ করে বছর বছর ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট নির্ধারণ করেছে। এর ফলে এ বছর মজুরি বেড়েছে মাত্র ৮.৫টাকা। অথচ এ সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অথচ এই গেজেট অনুযায়ী ৫ বছরে চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়বে মাত্র ৪৫ টাকা। এছাড়া এ গেজেটে ৫দিনের সমপরিমাণ মজুরি কমানো হয়েছে। একই সাথে মজুরির ব্যাপারে চা শ্রমিক প্রতিনিধিদের মতামতের কোন সুযোগ রাখা হয়নি। তাই এই অগতান্ত্রিক গেজেট বাতিল করে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০০টাকা নির্ধারণ ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। একই সাথে চা শ্রমিকরা ভূমি অধিকারের দাবি করে আসছেন দীর্ঘ দিন। বর্তমান সরকার চা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করবেন এটাই চা শ্রমিকদের প্রত্যাশা।

নেতৃবৃন্দ এ সকল দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সকলের প্রতি দাবি জানান।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট