শাবিপ্রবিতে ক্লাস করতে এসে ছাত্রলীগ কর্মী আটক

প্রকাশিত: ১০:১৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২৫

শাবিপ্রবিতে ক্লাস করতে এসে ছাত্রলীগ কর্মী আটক

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ক্লাস করতে এসে আটক হয়েছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মী নুর মোহাম্মদ বায়েজিদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভা গের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা সুমন মিয়ার অনুসারী।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থেকে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা।

আটক ছাত্রলীগ কর্মী মো. বায়েজিদ (২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লার গোবিন্দপুরের মো. আবদুল হান্নানের ছেলে। বায়েজিদ গত জুলাইয়ে ছাত্রলীগের শাবিপ্রবির যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়ার অনুসারী ছিলেন।

শিক্ষার্থীরা জানায়, আন্দোলনের পরও দীর্ঘদিন বায়েজিদ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ভবন ‘এ’-এর সামনে থেকে তাঁকে ধরে আনেন শিক্ষার্থীরা। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর বেলা পৌনে তিনটার দিকে শাবিপ্রবির সহকারী প্রক্টরদের উপস্থিতিতে বায়জিদকে জালালাবাদ থানা–পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা।

তারা আরো জানায় আটককৃত ছাত্রলীগ কর্মী জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় ছিল। তবে ১৫ জুলাই আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ায়। ফলে ছাত্রলীগের তোপের মুখে পড়ে আন্দোলনকরী শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। সে শুরুতে আমাদের সাথে আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও পরবর্তীতে আমাদের মৃত্যুর মুখে রেখে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আন্দোলনকে বিতর্কিত করে। ফলে ছাত্রলীগ আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ১৮ জুলাই আমাদের একজন সহযোদ্ধা শহিদ হয়, অনেকে আহত হন।

তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতা করায় তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করেছি। তাদেরকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়েছি শিক্ষার্থীরা একজনকে আটক করেছে। পরবর্তীতে সহকারী প্রক্টর ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জালালবাদ থানার উপপরিদর্শক আহসান হক বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বায়েজিদ নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা আছে। থানায় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ওই শিক্ষার্থীর বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই আমাদের টিম সেখানে হাজির হয়। পরে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। যথোপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট