বৈষম্যমূলক পরিকল্পনা থেকে সরে আসা উচিত : ভিসি জহিরুল হক

প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২৫

বৈষম্যমূলক পরিকল্পনা থেকে সরে আসা উচিত : ভিসি জহিরুল হক

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, “হবিগঞ্জ জেলা সদরের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে চালুকৃত হবিগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজটির জন্য যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করতে হবে। এটি অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে ইতোমধ্যে একটি ব্যাচ এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ী ক্যাম্পাস চালুর কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ঠ সদর হাসপাতালের ভবনে মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকায় হবিগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলের অন্ততঃ তিন জেলার রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে হবিগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজটি অন্য কোনো মেডিক্যাল কলেজের সাথে একীভূত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ ধরনের বৈষম্যমূলক পরিকল্পনা থেকে সরে আসা উচিত। হবিগঞ্জ হচ্ছে ভাটির ৪ জেলার হাব। আর মেডিক্যাল কলেজ যেহেতু জাতীয় প্রতিষ্ঠান সেহেতু স্বাস্থ্য শিক্ষায় এখানে সারাদেশ থেকে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হন। কিন্তু মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতাল স্থাপিত হলে সেখান থেকে এতদঞ্চলের চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত জনগন উপকৃত হতেন। ঘোষণার এক দশকেও হবিগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজটির জন্য স্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যবস্থা না করা এবং স্বতন্ত্র হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় কালক্ষেপন হবিগঞ্জবাসীর প্রতি বৈষম্য ও বঞ্চণার শামীল।”

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘খোয়াই বন্ধন’ এর ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বাল্লা স্থল বন্দর প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত পূণর্বিবেচনা এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের স্থান নির্বাচন জটিলতার আশু সমাধানের জন্যও সরকারের প্রতি আহবান জানান।

খোয়াই বন্ধনের সভাপতি মোর্শেদ আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মো. শাকিল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী ওয়াক্কাস সোহেল, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজী বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক মিয়া, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মো. মোস্তফা কামাল, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম রাজু, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রেদওয়ান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুল হাকিম শোভন, আর্কিটেকচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুব্রত দাশ, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. হাজেরা আক্তার, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. নোমান বখত, আর্কিটেকচার বিভাগের প্রভাষক শতপূর্ণা দাশ, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক তাহমিদুল হক রোভ, সিলেটস্থ হবিগঞ্জ সমিতির সাধারন সম্পাদক আবু তাহের চৌধুরী, খোয়াই বন্ধনের প্রাক্তন সভাপতি আরমান হোসেন ও শাকির আহমেদ রিপন প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে খোয়াই বন্ধনের সদ্য সাবেক কমিটিকে আনুষ্ঠানিক বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। প্রাক্তন সভাপতি শাকির আহমেদ রিপন ও সাধারন সম্পাদক সজীব সাজ এর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও প্রশংসাপত্র তোলে দেন শিক্ষক ও সংগঠনের উপদেষ্ঠাবৃন্দ। পরে হবিগঞ্জের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সিলেটস্থ হবিগঞ্জ সমিতির সদস্যরা ইফতারে অংশ নেন। ইফতারের পূর্বে পবিত্র রমজানের তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য এর উপর উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট