২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
সিলেট নগরীর মিরের ময়দানে আমেরিকা প্রবাসীর বাড়ির রাস্তা দখল করতে গাছ কেটে, দেয়াল ও গেইট ভেঙ্গে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী মিরের ময়দানের বাসিন্দা আবুল ফখর পারভেজ।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
আমেরিকা প্রবাসী আবুল ফখর পারভেজ তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি প্রবাসে থাকার কারণে তার বাড়িঘর দেখাশোনা করেন খালাতো ভাই সুমন। জাহানারা হক পারভিন তার বাড়ি বিক্রয় করেন লন্ডন প্রবাসী শেখ মোহাম্মদ মামুনের কাছে। তখন মামুন জাহানারা হক পারভিনকে বলেন ওই বাড়ির রাস্তার সকল গাছপালা কেটে ও গেইট বড় করে দিতে হবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২/১১/২৪ ইং তারিখে নগরীর সোবহানীঘাট এলাকার বাসিন্দা মৃত আহমদ আলীর মেয়ে ও সোহেব আহমদ হাবুর স্ত্রী জাহানারা হক পারভীন (৪৫), সুনামগঞ্জ জগদীশপুরের আনোয়ার মিয়া তালুকদার এর ছেলে আদিল মিয়া তালুকদার (৩৫), আদনান তালুকদার (২৫), সিলেট নগরীর মিরের ময়দানের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে মাসুক মিয়া (৬৫) ও আমিনুল ইসলাম মনাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জন প্রবাসি পারভেজের রাস্তা ও বাড়ির বিভিন্ন প্রজাতির ৪০/৫০টি গাছ কেটে নিয়ে যায় এবং গেইট ও দেয়াল ভেঙ্গে রাস্তা দখল করে নেওয়া হয়। তখন তিনি বিষয়টি জেনে সুমনকে বলেন ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে জানাতে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহানারা হককে গাছ কাটতে ও দেয়াল ভাংতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কিন্তু চতুর মহিলা পুলিশ যাওয়ার পর পুনরায় সকল গাছ কেটে চুরি করে নিয়ে যায় এবং দেয়াল ও গেইট ভেঙ্গে ফেলে। যার ভিডিও ফুটেজ আছে।
আমেরিকা প্রবাসী সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, তিনি গত ২৮ নভেম্বর দেশে আসেন । দেশে আসার পর মিরের ময়দান এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি এহিয়া মিয়া, মোঃ আজাদ আহমদ চৌধুরী, জগলু আহমদ, মোঃ সেলিম মিয়া ও এলাকার মুরব্বীয়ানগনের স্মরণাপন্ন হন। উক্ত শালিসানগণ উভয় পক্ষকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেন এবং সরকারী সার্ভেয়ার এনে জায়গা পরিমাপ করেন। এতে দেখা যায় ওই আমেরিকা প্রবাসী গেইটের বাইরেও আরোও ০.০০৩১ পয়েন্ট জায়গা পান। তাও শালিসানগণের কথা উক্ত জায়গা আমি ছেড়ে দেন। তবুও জাহানারা বেগম উক্ত সালিশ মানেন নাই। পরবর্তীতে কোতোয়ালী থানার এসআই শারফিন ও এসআই জুনেদ আহমদ উভয়পক্ষ এবং শেখ মোহাম্মদ মামুনের ভাই আমিনুল ইসলাম মনা এবং স্থানীয় মুরব্বীগণকে থানায় ডাকেন। তিনি একজন প্রবাসী হওয়ায় এবং দেশে কেউ না থাকায় তার আপন চাচাতো ভাই তাজরুল ইসলাম তাজুলকে নিয়ে থানায় যান। ওই সময় কোতোয়ালী থানায় মিরের ময়দান এলাকার পঞ্চায়েত কমিটি ও কুয়ারপার এলাকার মুরব্বীগণ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে শালিসানগন বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন, কিন্তু মামুনের নির্দেশে আমিনুল ইসলাম মনা কারো কোন কথা শুনেন নাই। বরং থানা থেকে যাওয়ার পর আমিনুল ইসলাম মনা ও তার ভাই শেখ মোহাম্মদ মামুন এবং ওই মহিলা বিভিন্ন লোক দিয়ে তাজরুল ইসলাম তাজুলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে মিশে তাজুলকে সমাজে ও রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস এবং হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপরদিকে শাকিল মোর্শেদ নামের আরেকজনকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। অথচ শাকিল মোর্শেদ কে, কোথায় থাকেন বা দেখতে কেমন তা তিনি জানেন না এবং তাকে চিনেন না। সম্মানি লোকদেরকে নিয়ে এসব মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করায় ওই প্রবাসী তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং এসকল বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান করেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার ভূমি নিয়ে এস এম মামুন ও পারভিন গং বিরোধ সৃষ্টি করেছেন। আর উক্ত বিষয়ে শাকিল মোর্শেদ বা তাজরুল ইসলাম তাজুলের কোন সংশ্লিষ্টতা নাই। এমনকি এস এম মামুন শাকিল ও তাজরুল এর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে মিথ্যাভাবে তাজরুল ইসলাম তাজুল ও শাকিল মোর্শেদ এর নাম ব্যবহার করেছেন। যা লজ্জাজনক ও ঘৃণিত।
আমেরিকা প্রবাসীর বাড়ির রাস্তা ও জায়গার বিষয়ে সিলেটের যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে মামলা নং-২১/২০২৫ইং এব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সিলেট এ বিবিধ মোকদ্দমা নং-০৪/২০২৫ইং দাখিল করেন এবং সঠিক ও ন্যায় বিচারের জন্য পরিবেশ ও বন অধিদপ্তর, সিলেট জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ ও পুলিশ কমিশনার বরাবরে দরখাস্ত প্রদান করেছেন।
অপরদিকে, পারভিন এবং তার সহযোগীগন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। বিধায় অন্যায়ভাবে সম্মানিত ব্যক্তিগণের নাম উল্লেখ করে রাস্তা দখলে নিতে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তাই প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে বিনীতভাবে জোর দাবি জানিয়ে বলেন, তার বাড়ির গাছ কর্তনকারী ও সম্মানি লোকদেরকে মানহানিকারিদের গ্রেফতার করে সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্ত করতে এবং বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার থেকে সবাইকে বিরত থাকতে ও প্রকৃত দখলবাজ, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D