যাদুকাটায় হিন্দু ধর্মালম্বীদের গঙ্গাস্নান শুরু, হচ্ছেনা শাহ আরেফিন (রহ.) ওরস

প্রকাশিত: ১০:৩৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০২৫

যাদুকাটায় হিন্দু ধর্মালম্বীদের গঙ্গাস্নান শুরু, হচ্ছেনা শাহ আরেফিন (রহ.) ওরস

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তবর্তী যাদুকাটা নদীর তীরে উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে হিন্দু ধর্মালম্বীদের পনাতীর্থ বা গঙ্গাস্নান শুরু হয়েছে। কিন্তু একেই সময়ে মেঘালয় পাহাড় ঘেঁষে লাউরগড়ের সাহিদাবাদ সীমান্তে শূন্যরেখায় মুসলমানদের হজরত শাহ আরেফিন (রহ.)আস্তানায় ওরস হওয়ার কথা থাকলেও বন্ধ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,বাদাঘাট ইউনিয়ন রাজারগাঁও গ্রাম(পনাতীর্থ বা গঙ্গাস্নান) সংলগ্ন যাদুকাটা নদীতে ২৬ মার্চ রাত ১১/০১/৫৩ সেকেন্ড গতে ২৭ মার্চ রাত ৯/২৪/৪৮ সেকেন্ডের মধ্যে পণতীর্থ গঙ্গাস্নান মহাবারুণী মেলা রাজারগাও সংলগ্ন শ্রী শ্রী অদ্বৈত জন্মধামের সন্নিকটে প্রবাহিত যাদুকাটা নদীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, ১৫১৬খিষ্টাব্দে পনাতীর্থের সূচনা করেন মহাপুরুষ শ্রীমান অদ্বৈত আর্চায প্রভু। নদীর তীর সংলগ্ন রাজারগাঁও গ্রামে অদ্বৈত আর্চায মন্দির ও আখড়া তৈরি করা হয়েছে। এখানে দেশ,বিদেশেসহ সিলেট বিভাগের সিলেট,হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জসহ লাখ লাখ ভক্তবৃন্ধের আগমনে মিলন মেলায় পরিনত হয়। নদীর তীর রাজারগাঁও বসে বিরাট বারুনী মেলা। মেলায় ঢল নামে শিশু,নারী,পুরুষসহ ভক্তগনের।

শাহ আরেফিন(রহ.)-এর মাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক আলম সাব্বির জানান, প্রতি বছরের মত চলতি বছরের মত হজরত শাহ আরেফিন (রহ.) আস্তানায় ২৬মার্চ থেকে ২৮মার্চ তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওরস পূর্ব নির্ধারিত থাকলেও পবিত্র রমজান মাস চলমান থাকা, একেই সাথে ২৭ মার্চ পবিত্র শবে কদরের রাত্রি হওয়ায় বার্ষিক ওরস ও মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে আরও জানাযায়,হজরত শাহজালাল(রহ.)এর সফরসঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম জিন্দাপীর শাহ আরোফিন (রহ.) বাংলদেশ সীমান্তে লাউড়েরগড় গ্রাম নিকটবর্তী ভারতের মেঘালয় পাহাড়ে পাথরের গুহায় ইবাদত করতেন। তবে তিনি আজও জীবিত বা মৃত তার কোন চিহ্ন পায়নি কেউ। আর এ ধারণা থেকেই যুগ যুগ ধরে প্রতি বছর ওরস মোবারক পালন করে আসছেন হাজার হাজার ভক্ত। মেঘালয় পাহাড়ের ঘুহায় যেতে না পারায় লাউড়েরগড় সীমান্ত নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় অস্থায়ী শাহ আরেফিন (রহ.)এর আস্তানা তৈরী করে বক্ত আশেকানগন ওরস পালন করে।

অদ্বৈত্য প্রভু জন্মধামের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অদৈত্ব রায় জানান,গাঙ্গা স্নানের মাধ্যমে হিন্দুধর্মালম্বীরা মা,বাবা,স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তাদের সারা বছরের পাপ মোচনসহ পুণ্য লাভের জন্য আসেন। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় গাঙ্গা স্নান সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হবে আশা করছি। শ্রী শ্রী অদ্বৈত জন্মধাম কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে সকলকে সবিনয় আমন্ত্রণ জানাই।

তাহিরপুর থানার অফির্সাস ইনচার্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান,পর্নতীর্থ এলাকায় ও আসা-যাওয়ার পথে সকল প্রকার অনিয়ম ও আইনশৃংখলা বজার রাখার জন্য সর্তক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট