ঈদ বোনাসের দাবিতে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের মিছিল সমাবেশ

প্রকাশিত: ১২:০৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২৫

ঈদ বোনাসের দাবিতে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের মিছিল সমাবেশ

আসন্ন ঈদুল ফিতরে হোটেল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও উৎসব বোনাস প্রদানের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন।

২৪ মার্চ রাত ১০ টায় সুরমা পয়েন্টে জমায়েত হয়ে এক বিক্ষোভ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্ট পয়েন্টে জেলা কমিটির সভাপতি মো. ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আনছার আলীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, , জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলার আহবায়ক শুভ আজাদ শান্ত, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী, বাবনা আঞ্চলিক কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কমিটিন সবাপতি মো. রিপন মিয়া, জিন্দাবাজর আঞ্চলিক কমিটির সাতারণ সম্পাদক সেহান হোসেন হাবিবসহ প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রমজান মাস মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য সুখ ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনলেও হোটেল সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য দুখের মাস হয়ে দাঁড়ায়। রমজান মাসের পূর্বেই শ্রমিকদের ছাঁটাই করে দেওয়া হয়। এবং যাদের কর্মে রাখা হয় তাদের দিয়েও করানো হয় দ্বিগুন-তিনগুন কাজ। অথচ অতিরিক্ত কাজ করানো হলেও প্রদান করা হয়না অতিরিক্ত মজুরি। মালিকের প্রতিষ্টানে সারা বছর কাজ করে মুনাফা সৃষ্টি করে দিলেও রমজান পরবর্তী ঈদ আসলে প্রতিবারই শ্রমিকদের রাস্থায় মিছিল মিটিং, মালিকদের নিকট ধর্ণা দিতে হয় ঈদ বোনাসের জন্য। অথচ ঈদ বোনাস শ্রমিকের আইনি প্রাপ্য অধিকার।

সমাবেশ থেকে অনতিবিলম্বে সকল হোটেল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও উৎসব বোনাস প্রদানের প্রেক্ষিতে মালিকদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের ন্যায় সংগত আইনি পাওনা পরিশোধের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। শ্রমিকদের অতিত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দাবি আদায়ের সংগ্রাম বেগবান করে তোলার আহবান জানান।

নেতৃবৃন্দ সিলেটের কালাগুল, বরজান, ছড়াগাঙ সহ বিভিন্ন বাগানের শ্রমিকরা গত ১৪ সপ্তাহ অর্থাৎ ৩ মাস থেকে বেতন-রেশন থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। শ্রমিকরা কাজের বিনিময়ে মজুরির দাবি জানালে তা প্রদানে মালিকরা নানা অজুহাত তৈরি করেন। অবিলম্বে চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং যেসকল বাগানে ফাগুয়া উৎসব বোনাস দেওয়া হয়নি তাদের উৎসব বোনাস প্রদানের দাবি জানান।

সমাবেশ থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের দাবিতে শ্রম ভবনের সামনে আন্দোলরত অবস্থায় মুত্যুবরণ করেন তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিহতের দায় রাষ্ট্রকে নিয়ে শ্রমিকের সারা জীবনের আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান। প্রচলিত ও রাস্ট্রব্যবস্থায় শ্রমিক-কৃষক মেহণতি মানুষের মুক্তি আসবেনা, শ্রমিক কৃষক মেহণতি মানুষের মুক্তি পেতে হলে শ্রমিক কৃষকের রাষ্ট্র সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান করতে হবে।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট