৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
স্কুল-কলেজ খোলার পর থেকে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মানলেও অধিকাংশ জায়গায় অভিভাবকেরা মানছেন না জানিয়ে তাদের আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে অভিভাবকরা ভিড় করছেন। সেখানে প্রতিষ্ঠানের তেমন কিছু করার নেই। সেখানে অনুরোধের বিষয় আছে, জোর করার কিছু নেই। অভিভাবকদের আমি সচেতন হতে বলব। তারা অপেক্ষা করবেন, কিন্তু অপেক্ষাটা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে হয়।’
রোববার ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজ খোলার পর এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি, তাতে কোনো জায়গায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা এখন পর্যন্ত মনে হয়নি। তবে আমাদের খুব সচেতন থাকতে হবে।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছে সরকার। প্রাথমিকভাবে একেক দিন একেক সময়ে একেক শ্রেণির ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘একটা সমাজ তো তাদের অভ্যাস রাতারাতি বদলাতে পারে না। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাসগুলো আস্তে আস্তে বিস্তৃতি লাভ করবে। একদিনে আমরা সব আশা করে ফেলছি তা না।’
তিনি বলেন, ‘সবার মধ্যে একটা চেষ্টা দেখছি। যেটা দেখেছি সেটা দিয়ে আমি স্ন্তুষ্ট। সবার চেষ্টা আছে। আমরা আশা করছি, আমরা একটি স্বাস্থ্যসম্মত জায়গায় পৌঁছতে পারব।’
মহামারির মধ্যে দেড় বছরে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে দীপু মনি বলেন, ‘মাত্র তো স্কুল-কলেজ খুলেছে। আমরা তথ্য নিচ্ছি। তথ্যের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীর টিকার রেজিস্ট্রেশন হয়নি, তাদের ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা টিকার রেজিস্ট্রেশন করতে বলেছি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ই সিদ্ধান্ত নেবে।’
যাত্রাবাড়ীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঘুরে দেখার পর তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজও পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং বাকি নিয়মগুলো মানা আসলে আমাদের অভ্যাসের অংশ ছিল না। এখন এটাকে আমাদের অভ্যাসের অংশ করতে হবে। আর অভ্যাস বদলানোটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এটার জন্য সময় লাগে। কিন্তু করোনার কারণে আমাদের বেশ চাপ দিয়ে এটা মানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি যে কয়টা প্রতিষ্ঠানে গিয়েছি, দেখে আমার ভালো লেগেছে। তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় হোস্টেলও আছে। প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আছে। দু-একটি রুমে পুরনো বই, পরীক্ষার কাগজপত্র রাখা আছে। রুমটা পরিষ্কার। কিন্তু হয়ত স্যাঁতস্যাঁতে। আমাদের সব অবকাঠামো যে খুব ভালো অবস্থায় আছে, তা তো নয়। হয়ত কোথায় কোথাও সমস্যা আছে। সেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। তবে আমার ভালো লেগেছে, যে কটা প্রতিষ্ঠানে গিয়েছি।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D