জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত: ২:০৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০১৬

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি সমন্বিত ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি একটি নতুন বৈশ্বিক সমস্যা। কোনো একক দেশ বা অঞ্চলের পক্ষে এই গুরুতর সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এ কারণেই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা ও এ সমস্যার সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমন্বিত ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

শুক্রবার নগরীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে ‘পরিবেশ ও জলবায়ু’ শীর্ষক দক্ষিণ এশিয়া জুডিশিয়াল কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দানকালে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

হামিদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ ও বিশ্বকে রক্ষা করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে কিওটো প্রটোকল ও প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন ও প্রতিশ্রুতিগুলোকে কাজে রূপান্তরের সময় এসেছে।’

তিনি বলেন, সংবিধানের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী ব্যাখ্যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রতিনিয়ত পরিবেশ সংরক্ষণ ও রক্ষা বিষয়ক মামলাগুলোর অর্থপূর্ণ বিচারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশগত ভারসাম্য বিনষ্টকারী কার্যক্রম মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিচার বিভাগ অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, স্বতন্ত্র পরিবেশ আদালত ও সাংবিধানিক প্রতিকার ব্যবস্থা ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণে সর্বোচ্চ আদালত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, যেসব দেশ প্রথম প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষর ও অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম এবং বাংলাদেশ নিজস্ব সম্পদ দিয়ে ৪শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল গঠনকারী প্রথম দেশ।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, সম্মেলন থেকে যেসব পরামর্শ ও সুপারিশ আসবে তা পরিবেশ রক্ষা ও সংরক্ষণে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়ক হবে।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিয়া, পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও এডিবি’র জেনারেল কনসাল ক্রিস্টোফার স্টিফেন্স বক্তৃতা করেন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট