ভারতের নতুন চিন্তা, কঠোর নিরাপত্তা সত্ত্বেও কীভাবে মেরে গেল?

প্রকাশিত: ৩:৫৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০১৬

দিল্লি : কঠোর নিরাপত্তা সত্ত্বেও কীভাবে এক বিএসএফ জওয়ানকে মেরে গেল অস্ত্রধারীরা? কীভাবেই বা সেনার নজর এড়িয়ে পালিয়ে গেল?

বারামুলার জনবসতিপূর্ণ এলাকাকে কাজে লাগিয়েছে অস্ত্রধারীরা। তাই পাল্টা হামলায় অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হয়েছে সেনাকে। এমনটাই দাবি ভারতীয় সেনাবাহিনীর।

প্রশ্ন হচ্ছে, হামলাকারীরা নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে এসেছিল, নাকি আগে থেকেই এদিকে ছিল? হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া জিনিসপত্র খুঁটিয়ে দেখছে সেনারা।

ভারতের দাবি, হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া জিপিএস ও কম্পাস উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে তার কাটার যন্ত্র। তাছাড়া একটি একে-৪৭ এর একটি খালি ম্যাগাজিনও উদ্ধার হয়েছে।

এদিকে অস্ত্রধারীরা লুকিয়ে থেকে পরে হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করছে ভারতীয় বাহিনী। হামলাকারীদের খুঁজে মারতে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে সেনাবাহিনী। সড়ক, জঙ্গল, আশপাশের এলাকা, এমনকি ঝিলাম নদীতেও কড়া নজরদারি চালায় সেনারা।

পরে সেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পালিয়ে গেছে হামলাকারীরা। এখানেই উঠছে প্রশ্ন।

কীভাবে মৃত্যু হল এক বিএসএফ জওয়ানের?

সেনার নজর এড়িয়ে কীভাবেই বা পালাল অস্ত্রধারীরা?

সেনা সূত্রের দাবি, ঘন অন্ধকারে দুপক্ষের গুলির লড়াই চলে। বারামুলার ওই এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু জনবসতি। সাধারণ নাগরিকদের ঢাল করে সেনা শিবিরকে টার্গেট করে অস্ত্রধারীরা। ফলে হামলাকারীদের পাল্টা জবাব দিতে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হয় সেনাকে। আর এই জনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং রাতের অন্ধকারকে কাজে লাগিয়েই পালিয়ে যায় তারা।

এরআগে উরি হামলার ঘটনায় সেনা ঘাঁটিতে নিরাপত্তায় গলদ ছিল বলে দাবি করেছিল ভারত। বারামুলায় কঠোর নিরাপত্তা সত্ত্বেও অস্ত্রধারীদের হামলা ভাবিয়ে তুলছে ভারতকে। হামলাকারীরা কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নাকি সীমান্ত পেরিয়ে এসেছে সেই চিন্তায় ঘাম ঝরছে ভারতের।

জিনিউজ অবলম্বনে

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট