ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার একমাসের শিশুটি কাঁদাল বিশ্ববাসীকে

প্রকাশিত: ২:১১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০১৬

সিরিয়ার বিভিন্ন নগরীসহ নানা অঞ্চলে বিবদমান পক্ষগুলোর মাঝে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে। এদিকে রাশিয়া, আসাদ সরকার, বিদ্রোহী ও আইএস সবাই নিজস্ব রণকৌশল নিয়ে বিভক্ত।

আইএস দমনের নামে কোথাও বোমা হামলা চালাচ্ছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী ও তার মিত্র রাশিয়ার সেনারা।

আবার কোথাও হামলা চালাচ্ছে আমেরিকার বোমারু বিমান। তাদের নির্বিচার এ হামলায় প্রতিদিন নির্মমভাবে মারা যাচ্ছে নারী ও শিশুসহ সিরিয়ার নিরপরাধ সাধারণ মানুষ। বাদ যাচ্ছে না হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবা প্রদানকারী লোকজনও।

সম্প্রতি সিরিয়ার ইদলিব শহরের একটি ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধারকারীদের হাতে এক মাস বয়সী একটি শিশু উদ্ধার করার দৃশ্য প্রকাশ্যে আসে। এতে দেখা যায় বোমা হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষের ভিতর থেকে দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আবু কিফা নামে এক স্বেচ্ছাসেবী এক কন্যাশিশুটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এনে অ্যাম্বুলেন্সে তোলে। এমন দৃশ্য বিশ্ববিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে।

আহত এক মাস বয়সী মেয়ে নবজাতকটিকে বুকে জড়িয়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি তিনি। চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় গড়িয়ে পড়ছিল পানি। হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন আবু কিফা।

হৃদয়বিদারক সংবাদটি কাভার করতে গিয়ে বিবিসির সাংবাদিক কেট সিলভারটনের একই অবস্থা হয়। তিনিও কেঁদে ফেলেন আহত শিশুটির সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে। এ খবর শেষ করে অন্য খবর পড়ার সময় তার কান্না থামছিল না।

খবরে এ মর্মান্তি দৃশ্য দেখে তার সঙ্গে কেঁদেছে বিশ্বে সব বিবেকবান মানুষও। গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে রাশিয়া সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রীত এলাকাগুলোতে বিমান হামলা আরো জোরদার করেছে।

এ হামলায় বহু সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন, এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। তবে এর মধ্যে আলেপ্পো শহরের পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ। শহরটিতে লক্ষাধিক শিশু আটকা পড়ে আছে।

নিরাপদ আশ্রয়ে বের হলে আইএস জঙ্গিদের হাতে আটক হতে হচ্ছে। তারা তাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। আর বাড়িতে থাকলে দুই পক্ষের বোমা হামলায় প্রাণ হারাতে হচ্ছে তাদের।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট