মৃত ব্যক্তির নামেও মামলা হয়েছে এখন শুরু হয়েছে গণগ্রেপ্তার : রিজভী

প্রকাশিত: ১:৪৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০১৮

মৃত ব্যক্তির নামেও মামলা হয়েছে এখন শুরু হয়েছে গণগ্রেপ্তার : রিজভী

Manual3 Ad Code

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মীদের নামে ‘গায়েবি মামলা’ দায়ের করার পর পুলিশ এবার গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে।

Manual5 Ad Code

শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন এবং গণগ্রেপ্তারের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।

রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশব্যাপী গায়েবি মামলার পর এখন বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে পাইকারীহারে গ্রেপ্তার শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলা দায়েরের তামাশা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, নয় বছর, দুই বছর ও এক বছর আগে মৃত ব্যক্তিদের নামেও মামলা দেওয়ার কথা আপনাদেরকে অবহিত করেছি। এই মামলা থেকে রেহাই পাননি দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালের বেডে পড়ে থাকা পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীও।

Manual7 Ad Code

‘তামাশার আরো নজির দেখতে পাই, টঙ্গীতে ছাত্রলীগ সভাপতির নাম মামলায় চলে আসায় এজাহার পাল্টিয়ে তাকে বাদ দিয়ে নতুন এজাহার দেওয়া হয়েছে। আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পারলাম যে, দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ধরার জন্য সাঁড়াশি অভিযান চালাতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

Manual2 Ad Code

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘সুতরাং আইন ও বিচার যে সরকারের সম্পূর্ণ করায়ত্বে সেটার দৃষ্টান্ত বারবার দেওয়ার দরকার নেই।’

এ সময় রিজভী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়েরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট বোমা হামলার রায় আওয়ামী লীগ নির্দেশিত রায় সেটিও খুব সহজেই জনগণ উপলব্ধি করছে। এই রায়ের পক্ষে জনগণের কোনো সাড়া না পেয়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা উদ্ভ্রান্তের মতো কথা বলছেন।’

এর আগে বিএনপি ৬ অক্টোবর অভিযোগ করেছিল, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে চার হাজার ১৪৯টি। নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ৮৬ হাজার ৬৯২ জনকে। এ ছাড়া দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৭৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এই সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চার হাজার ৬৮৪ জনকে। আর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে ২৪৭ জনকে।

Manual7 Ad Code

‘এ ছাড়া ২০০৯ সাল থেকে এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৯০ হাজার ৩৪০টি মামলায় ২৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মোট হত্যার সংখ্যা এক হাজার ৫১২ জন, এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা বিএনপির নেতাকর্মীর হত্যার সংখ্যা ৭৮২ জন।’

নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই গায়েবি মামলা ও গণগ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ বিএনপির।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code