আমার মা’র জমানো অর্থ দেশের জন্য খরচ করতেন বাবা : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৯:০৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০১৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের জন্য নিজের সম্পদ দিয়ে দিয়েছিলেন আমার মা। আমার মা একটি টাকাও খরচ করতেন না, জমিয়ে রাখতেন। পরে সেসব টাকা বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দেন।

সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কার্যক্রম, আন্দোলন-সংগ্রাম আর মানুষের কল্যাণে নিজের সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে সেই অর্থ কাজে লাগিয়েছেন।’

১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই মহিয়সী নারী।

শেখ হাসিনা জানান, ‘ফজিলাতুন নেছা মুজিব নেপথ্যে থেকে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অনুপ্রেরণা ও সাহস দিয়েছেন। কিন্তু কখনো তিনি সামনে আসতেন না।’

তার রাজনৈতিক দুরদর্শিতা, আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী ভূমিকার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংসারের অভাব অনটন নিয়ে কখনো তাকে কথা বলতে শুনিনি। বরং নিজের সম্পদ দেশের কল্যাণে বিলিয়ে দিয়েছেন। দলীয় লোকজনের বিপদ আপদে সাহায্য করেছেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তিনি ছাত্রনেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। বিভিন্ন সময় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে তার নির্দেশ অনুযায়ী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতেন, পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিতেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগযোগ ছিল তার। ঢাকা শহরের কোথায় কি ঘটত সব খবর রাখতেন তিনি। আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা বিরক্ত হলেও তিনি ছয় দফা থেকে একচুলও নড়েননি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু স্লোগান ঠিক করা থেকে শুরু করে সব নির্দেশনা দিয়ে দিতেন। তিনি (ফজিলাতুন নেসা) সেই অনুযায়ী ছাত্রনেতাদের পরামর্শ ও নির্দেশ দিতেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, অসহযোগ আন্দোলনসহ সব সময়ই তাকে খুবই আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী দেখেছি। তাকে কখনো ভেঙে পড়তে দেখিনি। তিনিই মনে হয় প্রথম জানতেন দেশ স্বাধীন হবেই।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ফজিলাতুন নেছা মুজিবও কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট