জৈন্তাপুরে মহাসড়কের পেট কেটে চলছে পাথর উত্তোলন

প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০২১

জৈন্তাপুরে মহাসড়কের পেট কেটে চলছে পাথর উত্তোলন

জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি : সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর আলুবাগান মোকামবাড়ী এলাকায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাশে অবস্থিত সরকারী এবং কিছু ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা হতে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল অবৈধ ভাবে গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন করছে। উপজেলা প্রশাসন চলতি বছরে দুই দফা আলুবাগানে অভিযান পরিচালনা করার পরও বন্ধ হয়নি অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন।

জানা গেছে, আলুবাগান মোকামবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হান্নান এবং আব্দুল মাতালেব বাবু গংরা সিলেট-তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের পাশের জায়গা থেকে অন্তত ৫০ হতে ৬০ ফুট গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ গাড়ী পাথর বিক্রয় করা হচ্ছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারী অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল হান্নানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ৭ নভেম্বর একই স্থানে জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ সরকারের প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল ও পুলিশের উপস্থিতিতে শ্রীপুর আলু-বাগান মোকামবাড়ি (জৈন্তিয়া হিল রিসোর্টের বিপরীতে) সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পার্শ্বে অভিযান করে একটি গাড়ি জব্ধ করা হয় এবং দুটি পানির পাম্প আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। অভিযান পরবর্তী সময়ে গাড়ীর মালিক মো. আব্দুল হান্নানকে ৬০ হাজার টাকা এবং আব্দুল মাতালেব বাবু কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানের পর কিছুদিন পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখে পুনরায় উল্লেখিত পাথর খেকু চক্রটি পাথর উত্তোলন শুরু করে। স্থানীয় এলাকার সচেতন মহলের (নিরাপত্তা জনিত কারনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) প্রশ্ন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পাথর খেকুরা কিভাবে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পেট কেটে পাথর বের করে নিচ্ছে? এভাবে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রাখা হলে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের আলুবাগান অংশ যে কোন মুহুর্তে ধ্বসে পড়ে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে সিলেটের সর্ববৃহত আমদানী রপ্তানি বানিজ্যের একমাত্র প্রাণ কেন্দ্র তামাবিল স্থল বন্দররের সাথে সিলেটসহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ৬ (ছয়) লেনে উন্নিত করতে ইতোমধ্যে পাথর খেকু কর্তৃক সৃষ্ট গভীর গর্তটি নকশায় রয়েছে। গর্তটি ভরাট করতে কমপক্ষে ২৫ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে সরকারকে।

সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে চলাচলকারীরা পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সু-দৃষ্টিকামনা করেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারুক আহমেদ জানান, শ্রীপুর আলুবাগান ও মোকামবাড়ি এলাকায় চলতি বছরে দুই দফা অভিযান করা হয়। পাথর উত্তোলন করার বিষয়ে স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে উল্লেখিত স্থানে ৩য় দফা অভিযান পরিচালনা করা হবে।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট