ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত : ওরেগনে সহিংসতা

প্রকাশিত: ১:১০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৬

যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অব্যাহত বিক্ষোভ তৃতীয় দিনে সহিংসতায় রুপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতভর ওরেগনের পোর্টল্যান্ড শহরে বিক্ষোভের সাথে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে চার হাজারের বেশি লোক। পুলিশ এসময় ২৬ জনকে আটক করেছে। অনেক শহরে শুক্রবার সকালেও বিক্ষোভ চলছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ডেনভার, মিনিয়াপোলিস, মিলওয়াউকি, পোর্টল্যান্ড, ওকল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটেছে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা। তবে ট্রাম্প এসব বিক্ষোভকে ভাড়াটে বিক্ষোভকারীদের কাজ ও মিডিয়ার সৃষ্টি বলে উল্লেখ করেছেন।

বুধবার রাতে বিক্ষোভের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ট্রাম্পের মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন ট্রাম্পবিরোধীরা।   ট্রাম্পের মালিকানাধীন ভবন ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভ করেছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ।

অকল্যান্ডে বুধবার সন্ধ্যা থেকে একটি কয়েকশ বিক্ষোভকারী ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বেশ কিছু জায়গায় ভাঙচুর শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকালে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রায় ৪০টি জায়গায় লাগানো আগুন নেভান জরুরি কর্মীরা। বিশৃঙ্খলা তৈরি, পুলিশ কর্মকর্তাদের হয়রানি করা, বেআইনি কর্মকাণ্ড সংঘটিত করা ও আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অভিযোগে অন্তত ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

অকল্যান্ড পুলিশের দাবি,  বেশ কিছু বিক্ষোভকারী ব্যাট ও পাথর দিয়ে নিজেদের সশস্ত্র করে রাস্তায় নামে। মিনিয়াপোলিসে কয়েক মানুষ মিছিল করে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।  বাল্টিমোর পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত ৬০০ মানুষ সেখানে বিক্ষোভ করেছেন। রাস্তায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এখানে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে ডেনভারে। কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের রাজধানীতে অন্তত ৩ হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।

একটি ফেসবুক গ্রুপ ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। বৃহস্পতিবার তাতে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

কয়েক হাজার মানুষ চেঞ্জ ডট ওআরজিতে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন। এতে হিলারি ক্লিনটনের কাছে প্রেসিডেন্সি হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট