৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৫৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০১৯
এলাকার আধিপত্য আর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফরিদপুরের নগরকান্দার কাইচাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩জন নিহত হওয়ার ঘটনায় মাদারীপুরের শিবচর থেকে অস্ত্রসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- ঘটনার মূলহোতা কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হানিফ মিয়া ওরফে হৃদয় (৩৯), তাপস (৩০) ও গাড়ি চালক মো: আক্তার (২৩)।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শিবচর থানার ওসি আবুল কালাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটে সার্কেল এসপির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওঁৎ পেতে থাকে। এ সময় একটি গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে একটি বন্দুকসহ চালকসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
অস্ত্রটি হানিফ মিয়ার নিজের নামে লাইসেন্স করা বলে জানা গেছে। হানিফ মিয়া নগরকান্দা এলাকার মৃত মোসলেম আলীর ছেলে।
জানা গেছে, কাইচাইল ইউনিয়নের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন ওরফে ঠান্ডুর সঙ্গে তার চাচাতো ভাই যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হানিফ মিয়া ওরফে হৃদয়ের বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ওই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি চলে আসছিল। এর জের ধরে শনিবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত দুইজন ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থক। তারা হলেন- ইউপি চেয়ারম্যানের চাচা মৃত আবু বক্করের ছেলে রওশন আলী মিয়া (৫২) ও তার ভাতিজা রায়হান মিয়ার ছেলে তুহিন মিয়া (২৫)।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধদের প্রথমে নগরকান্দা উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক সাতজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসার পর জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- রায়হান উদ্দিন মিয়া (৬৫), আনিস মীর (২০), গোলাম রসুল বিপ্লব (৩০), গোলাম মওলা (৩০), আবুল কালাম (৩৫) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপর পক্ষের আনিস মিয়া (২৪), ফারুক মাতুব্বর (৪০), চুন্নু মিয়া (৪৮), সুমন মিয়া (২৮) ও বাবলু মিয়াকে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনা নিয়ে দুপক্ষের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন ঠান্ডু বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হানিফ মিয়া ও তাঁর ভাই হাসান মিয়া একটি মাইক্রোবাসে করে এলাকায় আসেন। তারা ওই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে কুরবানির আয়োজন নিয়ে পরামর্শরত তার সমর্থকদের গাড়ির মধ্যে থেকেই নির্বিচারে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তার দুই সমর্থক নিহত এবং আটজন আহত হন। তিনি দাবি করেন, হানিফ মিয়া নিজস্ব শর্টগান থেকে গুলি করেন।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হানিফ মিয়ার ভাই জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক হাসান মিয়া বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিরোধের কারণে তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ছাড়া। শনিবার তিনি ও তার ভাইসহ পাঁচজন একটি প্রাইভেটকার নিয়ে এলাকায় আসেন কুরবানি দিতে। মাদ্রাসা এলাকায় এলে চেয়ারম্যানের চাচা রওশন, রুস্তম, রায়হান, মাওলা ও বিপ্লবসহ ১০/১২ জন লোক তাদের বাধা দেয়। তারা গাড়িতে হামলা করে গাড়িটি ভাংচুর করে এবং তাদের ওপর কাঠ, লাঠি নিয়ে হামলা করে। তারাও কাঠলাঠি কেড়ে নিয়ে পাল্টা হামলা করেন। একসময় গুলির ঘটনা ঘটে।
তিনি দাবি করে বলেন, এ সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি তার ভাই হানিফসহ তিনজন আহত হয়েছেন। তারা ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হবেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাইচাইল ইউনিয়নে আ ওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D