অবকাঠামো ছাড়া আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব না, আমাদের যে দুর্বলতা তা কটিয়ে উঠতে সবচাইতে বড় প্রয়োজন এই অবকাঠামোগগত উন্নয়ন।

বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে প্রথমবারের মতো সিইই ফেস্টিভ্যাল “এক্সিড ২০১৮” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার এই অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করছে, আগামী কয়েকবছরে আমরা এর ফলাফল দেখতে পাবো। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর দিক থেকে বাংলাদেশে এর উন্নয়ন করা কঠিন তার কারণ হচ্ছে প্রকৃতিক দূর্যোগ, যা অন্য দেশগুলোতে এতো কঠিন না। তাই সকলের উচিৎ একধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এর উন্নয়ন সাধন করা। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল এর যে ১৭টি গোল অর্জন করার চেষ্টা চলছে তার মধ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনেক বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত। তাই যে উদ্দেশে এইধরনের ফেস্টিভাল আয়োজন করা হয়েছে তার একটি বিশাল অগ্রগতি হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যে সম্ভাবনার দেশ তার আসল নিয়ামক হচ্ছে এই তরুণ শক্তি। তাই দেশের যেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় পড়ানো হয় সকলের উচিৎ এরকম প্রোগ্রাম আয়োজন করা।

শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস,বিশিষ্ট ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেহেদি আহমেদ আনসারী, বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আজিজুল হকসহ অন্যান্য শিক্ষক এবং শাবিসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আগত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

দিনব্যাপি এই উৎসবে সাতটি ভিন্নধর্মী ইভেন্টে দেশের ২৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৪৫০ জন প্রতিযোগী অংশ করবে। এতে ইভেন্টগুলো হচ্ছে ট্রাস চ্যালেঞ্জ, মেকানিক্স অলিম্পিয়াড, অটোক্যাড ড্রয়িং, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, সাধারণ জ্ঞান কুইজ, ব্র্যান্ডিং কম্পিটিশন ও এক্সিড ম্যানিফেস্টেশন। এছাড়াও প্রতিযোগীদের জন্য টেকনিক্যাল সেমিনার, সমাপনী অনুষ্ঠান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এর আয়োজন করা হয়েছে।