‘মানুষের ক্ষতি করে সেটি কোনো উন্নয়ন নয়’

প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০১৬

বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা) এর সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘যে উন্নয়ন মানুষের ক্ষতি করে সেটি কোনো উন্নয়ন নয়। উন্নয়নের নামে নদ-নদীসহ পরিবেশ, মানুষ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি করা যায় না। ’

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বড়িগঙ্গা নদী দূষণ ও ট্যানারী শিল্প স্থানান্তর: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা) ও বুড়িগঙ্গা রিভার কিপার যৌথভাবে এ গোলটেবিল আলোচনা সভা আয়োজন করে।

সুলতানা কামাল বলেন, ‘শিল্প মালিকদের মুনাফার দায় সাধারণ মানুষ নিতে পারেনা। পরিবেশ, মানুষ ও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় নিয়েই উন্নয়ন করতে হবে। সব উন্নয়নকেই হয়ে উঠতে হবে পরিবেশবান্ধব, জনবান্ধব ও স্বাস্থ্যবান্ধব। বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’

তিনি বলেন, যারা মুনাফার স্বার্থে প্রতিনিয়ত মাটি এবং মানুষের ক্ষতি করছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে একদিন।

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে এবং হচ্ছে ভালকথা। বর্তমান বাস্তবতায় উন্নয়ন ও শিল্প গড়ার নামে যারা নদী দখলসহ ভয়ংকর অপরাধ করছে তাদেরকে ষ্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে।

গোলটেবিল আলোচনায় প্রাথমিক বক্তব্যে বুড়িগঙ্গা রিভার কিপারের শরীফ জামিল বলেন, ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তর প্রক্রিয়া যথাযথভাবে না হওয়ার দায় সরকার ও ট্যানারি মালিকদের। যেসব কারণে এখনো স্থানান্তর হয়নি তা দ্রুত শেষ করে ট্যানারি সাভারের হরিণঘাটায় নিতে হবে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন ৭০০০ শিল্প কারখানার প্রায় ১৫০ কোটি লিটার তরল বর্জ্য ঢাকার চারিধারের ৪টি নদীর পানিতে মেশে। বুড়িগঙ্গা নদী আজ সব প্রকার দূষণের শিকার। পৃথিবীর ৫ম সর্বোচ্চ দূষিত নদী বুড়িগঙ্গা। প্রতিদিন হাজারিবাগ ট্যানারি কারখানার প্রায় ২কোটি ১৬লক্ষ লিটার দূষিত বর্জ্য এসে পড়ে এই বুড়িগঙ্গা নদীতে।

গোলটেবিল আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন এ খান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য শারমীন মুরশিদ ও সার্বক্ষণিক সদস্য মো. আলাউদ্দিন, ট্যানারি শিল্প নগরীর প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল কাইয়ুম ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. সোলায়মান হায়দার প্রমুখ।