‘৭ দিন পর সিটিসেলের নেটওয়ার্ক বন্ধ’

প্রকাশিত: ১১:৫৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০১৬

Manual6 Ad Code

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন, আগামী ৭ দিন পর বন্ধ সিটিসেল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হবে। বকেয়া রাজস্ব না দেয়ায় সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে বুধবার থেকেই প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু হবে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রী আরো বলেন, গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নেওয়ার জন্য বেধে দেওয়া সময় আরো সাত দিন বাড়ানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সিটিসেলের গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় ছিল। এ সময় আরো সাত দিন বাড়ানো হলো।

প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

Manual3 Ad Code

সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির বকেয়ার পরিমাণ ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে টুজি লাইসেন্সের তরঙ্গ বরাদ্দ ও নবায়ন ফি বাবদ পাওনার পরিমাণ ২২৯ কোটি টাকা।

এছাড়া রাজস্ব ভাগাভাগির ২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বার্ষিক তরঙ্গ ফি ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, সামাজিক সুরক্ষা তহবিলের ৮ কোটি ৯২ লাখ লাখ, বার্ষিক লাইসেন্স ফি বাবদ ১০ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বাবদ ৩৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা ও বিলম্ব ফি বাবদ ১৩৫ কোটি ৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।

গ্রাহকসহ সিটিসেল-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য বিটিআরসির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

Manual6 Ad Code

এতে বলা হয়েছে, সরকারের প্রাপ্য রাজস্ব পরিশোধ না করে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া লাইসেন্সের শর্তের পরিপন্থী ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কাজেই বিটিআরসি সিটিসেলের লাইসেন্স ও বেতার তরঙ্গ ব্যবহার বাতিল করার এখতিয়ার রাখে।

Manual2 Ad Code

১৯৮৯ সালে দেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর হিসেবে টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার লাইসেন্স পায় সিটিসেল। যাত্রার সময় এটি ছিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মুঠোফোন অপারেটর।

Manual2 Ad Code

প্রথম থেকে সিটিসেল বাংলাদেশের একমাত্র সিডিএমএ (কোড ডিভিশন মাল্টিপল অ্যাকসেস) মোবাইল অপারেটর হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

সিডিএমএ প্রযুক্তির অপারেটর হিসেবে সিটিসেল ৯০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের তরঙ্গ ব্যবহার করে। সারা দেশে এই ব্যান্ডের ১০ মেগাহার্টজ ও ঢাকায় ৮ দশমিক ৮২ মেগাহার্টজ তরঙ্গ সিটিসেলের কাছে এখন আছে।

কাগজে-কলমে সিটিসেলের টাওয়ারের সংখ্যা ৮৫০-এর বেশি বলা হলেও বর্তমানে চালু থাকা টাওয়ারের সংখ্যা ২০০-এর কম বলে জানা গেছে।

সিটিসেলে বর্তমানে ৫৫ ভাগ শেয়ারের মালিক দেশিয় শিল্পগোষ্ঠী প্যাসিফিক মোটরস ও ফার-ইস্ট টেলিকম। এর মধ্যে প্যাসিফিক মোটরসের শেয়ারের পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর ফার-ইস্ট টেলিকমের ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ।

বাকি ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিংটেল।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code