সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেয়া বাংলাদেশি তরুণীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ১:০৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০১৬

আঠারো মাস আগে লন্ডন থেকে সিরিয়ায় পাড়ি জমানো সেই তিন স্কুল পড়ুয়া কিশোরীর একজন মারা গেছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত খাদিজা সুলতানা আইএসের কথিত রাজধানী রাকা থেকে পালানোর পথে রাশিয়ার বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।

ইংলান্ডের আইটিভি এই সংবাদ প্রকাশ করেছে। তবে বাংলাদেশে খাদিজার বাড়ি কোথায় বা তাদের স্বজনদের অবস্থান কী এ বিষয়ে ওই সংবাদে কিছু বলা হয়নি।

গত বছরের শুরুর দিকে দুই বান্ধবী আমিরাবেস এবং শামিমা সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় পাড়ি জমান ১৬ বছরের খাদিজা।

আইএস এ যোগ দিতে যাওয়া এই তিন কিশোরীর এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সে সময় দারুণভাবে আলোচিত হয়। আইএসের কুপ্রভাব কতটা সুদূর প্রসারী তার যোগ্য উদাহরণ হিসেবে উদ্ধৃত হয় তিন স্কুল পড়ুয়া কিশোরীর দুঃসাহসী অভিযান।

আইএসে যোগ দিতে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকা থেকেই আইএসের কথিত রাজধানী রাকাতে অবস্থান করছে হাজারো মুসলিম তরুণ-তরুণী। এদের মধ্যে বেশ কিছু বাংলাদেশি থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে।

এদের অন্তত একজন আইএসবিরোধী বোমা হামলায় নিহত হওয়ার নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।

খাদিজার বোন হালিমা খানম জানান, সিরিয়ায় পৌঁছে এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন খাদিজা সুলতানা। তার সেই কথিত স্বামী মারা যাওয়ার পর বড়বোনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন খাদিজা। চারপাশের যুদ্ধাবস্থা দেখতে দেখতে ক্রমশ ভীত হয়ে পড়েন তিনি। শেষটায় বাড়ি ফিরে আসতে চেয়েছিলেন খাদিজা।

হালিমা এবং বাকি দুই কিশোরীর পরিবার তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুল গিয়েছিলেন তাদের মেয়েকে সীমান্ত দিয়ে যে কোন ভাবেই হোক ফেরত আনতে।

একটা ট্যাক্সিক্যাবের পেছনে করে তাকে ফিরিয়ে আনা হবে সে পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ঘরে ফেরা হল না ১৭ বছরের কিশোরী খাদিজার। রাশিয়ার জঙ্গি বিমান থেকে নিক্ষিপ্ত বোমায় মারা পড়তে হল তাকে।

খাদিজার মৃত্যুর খবরে বোন হালিমা খানম বলেন-‘আমরা এ রকম একটা কিছু ঘটার আশঙ্কা করছিলাম। এখন আমরা কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত, কারণ এবার অন্তত ও একটা ভালো জায়গায় গেছে। আমরা চাই না ওর নাম আবার খবরের শিরোনাম হোক। ও চলে গেছে, আর আমরা ওর শেষ ইচ্ছেটাকেই মেনে নিতে চাই।’

খাদিজার খবর পাওয়া গেলেও, তার অন্য দুই সঙ্গীর কোন খোঁজ এখন পর্যন্ত মেলেনি। তবে তাদের পরিবার এখনো খোঁজ জারি রেখেছে, যদি তাদের ফিরে পাওয়া যায় এ আশায়।

সূত্র : এপি