গোয়াইনঘাটের একটি স্কুলে শিক্ষিকার প্রহারে ১৫ শিক্ষার্থী আহত

প্রকাশিত: ২:২৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০১৬

উবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

সিলেটের গোয়াইনঘাটে ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নের উপরগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করে ধামাচাপা দেয়ার বাধা দেয়ায় শিক্ষিকার প্রহারে ১৫ শিক্ষার্থী বেদম মারপিট করে পুকুরের পানিতে নিক্ষেপ করে আহত করার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবক মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের গোয়াইনঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
জানা যায়- ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নের উপরগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনা বেগম দীর্ঘদিন থেকে উপবৃত্তির টাকা আত্মস্যাৎ, নিয়ম বহির্ভুতভাবে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে চাঁদাবাজি, এলাকার অভিভাবকসহ সচেতন ব্যক্তিবর্গের সাথে অসদাচরণসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে।
সরকারি বিধিমালা উপেক্ষা করে এই শিক্ষিকা অত্র বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থীদের প্রায়ই বেত্রাঘাত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়- সি.এড জাল সনদ সরবরাহের মাধ্যমে উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্দিধায় সরকারি চাকুরি করে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন। তার অনিয়ম দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার শেষ নেই। উপজেলা থেকে শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর টেবিল পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এতদসত্বেও দুর্নীতিবাজ এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধ বিভাগীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
উপরগ্রাম গ্রামের জনৈক অভিভাবক মো. আপ্তাব উদ্দিন, আকদ্দছ আলী, জাহাঙ্গীর আহমদ, মকবুল আলী, নূর উদ্দিন, নাজমা বেগম, সুফিয়া বেগম, ফাতিমা বেগমসহ অভিভাবকরা জানান- শিন্নি বিতরণের নামে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে আটক করে বেদম মারপিট করে আহত করেন। শিক্ষার্থীদের আর্তচিৎকার শুনে অভিভাবকরা তাদের উদ্ধার করতে গেলে অভিভাবকদের প্রতিও চড়াও হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের কয়েকজনকে আবার পিটিয়ে বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুরে নিক্ষেপ করে।
আহত শিক্ষির্থীরা জানায়- উপবৃত্তির টাকার অংশ না-দেয়া এবং স্কুলড্রেস পরিধান না-করায় বিদ্যালয়ে ডেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেদম মারপিট করেছেন।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে কথা হলে অভিযুক্ত শিক্ষিকা আমিনা বেগম সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানান- বিষয়টি আমি জেনেছি। অভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।