কুকুরছানা হত্যা, সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৫

কুকুরছানা হত্যা, সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী গ্রেপ্তার

Manual3 Ad Code

পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানা বস্তাবন্দি করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় অভিযুক্ত নিশি রহমান (৩৮)-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় মামলাটি করেন।

Manual1 Ad Code

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আব্দুন নূর জানান, ‘প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৯’ এর ৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ঈশ্বরদী উপজেলা ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী নিশি রহমানকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পরপরই রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নিশি রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, মামলার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের রহিমপুর গার্লস স্কুলের পাশে একটি চারতলা বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

Manual4 Ad Code

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বলেন, ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত সমালোচিত হয়েছে। যে কারণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ও মহাপরিচালক স্যারও ফোন করে তার পক্ষে মামলা দায়ের করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নকে সোমবার গেজেটেড কোয়ার্টার ছাড়তে লিখিত নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তারা মঙ্গলবার বিকেলে বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে নয়নের স্ত্রী নিশি রহমান মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাচ্চাগুলো তাদের বাসার সিঁড়ির পাশে থাকতো এবং খুব বিরক্ত করত। তাই তিনি বাজারের ব্যাগে ভরে পুকুরের পাশে একটি সজিনা গাছের গোড়ায় রেখে এসেছিল। কীভাবে পুকুরে পড়েছে সেটি তিনি জানেন না। তিনি নিজে ছানাগুলোকে পুকুরে ফেলেননি বলে দাবি করেন।

Manual3 Ad Code

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের একটি কোনায় থাকতো টম নামের একটি কুকুর। এক সপ্তাহ আগে সে আটটি বাচ্চা প্রসব করে। সোমবার সকাল থেকে তার ছানাগুলো না পেয়ে, পাগলপ্রায় অবস্থায় কান্না আর ছুটাছুটি করতে দেখা যায় মা কুকুর টমকে।

পরে, উপজেলা পরিষদের কর্মচারীরা জানতে পারেন, ঈশ্বরদী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়ন ও তার স্ত্রী জীবন্ত আটটি কুকুর ছানাকে বস্তার মধ্যে বেঁধে, রোববার রাতের কোনো এক সময় ফেলে দেন উপজেলা পরিষদের পুকুরে। একদিন পর সোমবার সকালে পাওয়া যায় কুকুর ছানাগুলোর মরদেহ। দুপুরের পর মৃত কুকুর ছানাগুলোকে ইউএনওর বাসভবনের পাশে মাটি চাপা দেয়া হয়।


 

Manual5 Ad Code

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code