তামাবিল স্থলবন্দর খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্দন

প্রকাশিত: ৪:৩৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৪

তামাবিল স্থলবন্দর খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্দন

সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে শুল্ক কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে ফের পাথরসহ সব ধরনের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয় শ্রমিকরা।

আন্দোলনের অংশ হিসাবে শনিবার (১৩ জানুয়ারী) দুপুর ১২টায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্হানীয় শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন।

তামাবিল স্থলবন্দর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনপূর্ব এক বিক্ষোভ মিছিল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এদিকে শ্রমিক সংগঠন আহুত মানববন্ধনে সৃষ্ট যানজটের কারণে সিলেট- তামাবিল মহাসড়কের দু’পাশে যানবাহন আটকা পড়ে ভোগান্তিতে পড়েন পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীরা। পরে তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে শ্রমিকরা দুই দিনের জন্য আন্দোলন থেকে সড়ে দাঁড়ান।

তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এখানে কর্মরত সহস্রাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।

জানা যায়, তামাবিল স্থলবন্দরে অবস্থিত বাংলাদেশ শুল্ক বিভাগ পণ্য আমদানিতে প্রতি টনে পূর্বের নির্ধারিত এসএসমেন্ট ১২ ডলারের পরিবর্তে বাড়িয়ে তা ১৩ ডলার করা হয়ছে। বাড়তি শুল্ককর প্রত্যাহারের দাবিতে গত সোমবার (৮ জানুয়ারী) থেকে আমদানি বন্ধ করে দেন আমদানিকারকরা।

মানববন্ধনে শ্রমিক সংগঠনের সহ সভাপতি আয়নাল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কথা হলে তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (জারাবো) ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির উপর এসএসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে বৃদ্ধি করে। এই বাড়তি শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই তামাবিলসহ সিলেটের সবকটি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য সরকারি নির্দেশনা পেয়ে গত ৮ জানুয়ারি সোমবার দুপুর ১২টায় এক মতবিনিময় সভায় ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তামাবিল স্থলবন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট