১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২২
মোঃ সাহেদ আহমদ : সিলেটে সুরমা নদীর পানি কমলেও আসামে টানা ভারি বৃষ্টির কারণে বেড়ে যাচ্ছে কুশিয়ারা নদীর পানি। পানি বেড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে কুশিয়ারা নদীরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন জায়গায়। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বাঁধ ভেঙে ও উপচে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। তবে আশ্রয় কেন্দ্র এবং বন্যাদুর্গতদের দুর্দশা যেন বেড়েই চলেছে। সিলেটের অনেক জায়গায় এখনো সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে নদী ও নদী তীরবর্তী এলাকা পানিতে একাকার হয়ে গেছে। দুই উপজেলার প্রায় ৬০ শতাংশ প্লাবিত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে বালাগঞ্জ-খছরুপুর ও ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ সড়ক দিয়ে যান চলাচল। ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের অধিকাংশ জায়গা এখন পানির নিচে।
ওসমানীনগর উপজেলাতেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উপজেলার গোয়ালাবাজার, তাজপুর, দয়ামীর, বুরঙ্গা, সাদিপুর, পশ্চিম পৈলনপুর, উসমানপুর ও উমরপুর ইউনিয়নের পুরোটাই পানিতে তলিয়ে গেছে।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে দক্ষিণ সুরমার উপজেলার মোগলাবাজার, দাউদপুর, জালালপুর, সিলাম, তেতলী, লালাবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম। এদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে সুরমা নদীর বন্যার পানিতে মোল্লারগাঁও ও কামালবাজার ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের লোকজন এখনো পানিবন্দী রয়েছেন।
উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যাদুর্গত লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এদিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৫টি ওয়ার্ডে সুরমা নদীর পানি কমলেও অনেক এলাকার লোকজন এখন পানিবন্দী রয়েছেন। বরইকান্দি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পানি প্রবেশ করায় এই অঞ্চলে গত বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ বিহীনছিলো। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রচেষ্টায় মঙ্গলবার রাতে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে। শীঘ্রই দক্ষিণ সুরমায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজে ৩/৪ ফুট বন্যার পানি থাকায় কর্তৃপক্ষ আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত সকল পরীক্ষা ও পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা জানান, মেঘালয়ের ঢলে সুরমা, ধলাই ও পিয়াইন নদীর পানি বাড়ে। আসাম থেকে ঢল নামলে কুশিয়ারার পানি বাড়ে। এখন ঢল নামছে আসাম থেকে। তাই কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে এবং ওই নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি এতদিন ধীরে বাড়ছিল। রোববার থেকে অস্বাভাবিক গতিতে পানি বাড়তে শুরু করে। এতে শুরু হয় বাঁধের ভাঙন। কুশিয়ারা তীরবর্তী উপজেলাগুলোতে লক্ষাধিক মানুষ নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা পরিস্থিতির সবচেয়ে অবনতি হয়েছে জকিগঞ্জ উপজেলায়।
পাউবো আরও জানায়, সোমবার পর্যন্ত জকিগঞ্জ উপজেলায় ৩৯টি বাঁধ ভেঙে ও উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে সুলতানপুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর, সদর ইউনিয়নের রারাই, বীরশ্রীর সুপ্রাকান্দি, কাজলসারের বড়বন্দ এলাকায়। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে আরও ভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সিলেট পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা জানান, মেঘালয়ের ঢলে সুরমা, ধলাই ও পিয়াইন নদীর পানি বাড়ে। আসাম থেকে ঢল নামলে কুশিয়ারার পানি বাড়ে। এখন ঢল নামছে আসাম থেকে। তাই কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে এবং ওই নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।

EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D