রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করা হচ্ছে, সীমান্ত খুলে দেয়া যাবে না

প্রকাশিত: ৭:৪০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০১৬

চলমান রোহিঙ্গা মুসলিম সমস্যার জন্য মায়ানমারের পুলিশ হত্যাকারী ও আর্মির উপর হামলাকারীদের দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, মায়ানমারের এসব সন্ত্রাসী ও হামলাকারী বাংলাদেশে লুকিয়ে আছে কিনা তা খুঁজে বের করে তাদের মায়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মায়ানমার থেকে সর্বস্ব হারিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তবে সীমান্ত খুলে দিয়ে স্রোতের মতো তাদের আসতে দেয়া যায় না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ সব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মায়ানমার থেকে যারা সর্বহারা হয়ে বাংলাদেশে চলে আসছে, তাদের স্থান দেয়া হচ্ছে। শিশুদের খাদ্য দেয়া হচ্ছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাদের সব ধরনের সাহায্য করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা দুয়ার (সীমান্ত) খুলে দিয়ে তাদের এখানে আসার অবারিত সুযোগ দিতে পারি না। কারণ তারা আলাদা রাষ্ট্র। এটা (বাংলাদেশ) আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের এখানে (ঢাকায়) নিযুক্ত মায়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ ব্যাপারে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা সেখানে এমন কিছু সৃষ্টি করবে না যাতে সেখানকার লোকজন বাংলাদেশে চলে আসে।

চলমান রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য মায়ানমারের পুলিশ হত্যাকারী ও আর্মির উপর হামলাকারীদের দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মায়ানমারের ক্যাম্পে আক্রমণ করে ৯ জন বর্ডার পুলিশকে হত্যা করেছে, তাদের কারণেই আজ হাজার হাজার মানুষ ভুক্তভোগী। যারা এই ধরনের কাণ্ড ঘটালো, তাদের কারণেই হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুরা আজ কষ্ট পাচ্ছে। এদের (নারী-শিশু) তো কোনো অপরাধ ছিল না। অপরাধী তারা, যারা এই ধরনের অবস্থা তৈরি করেছে।

মায়ানমারের এসব সন্ত্রাসী ও হামলাকারী বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকলে তাদের খুঁজে বের করে মায়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে বর্ডার সংস্থা (বিজিবি) ও গোয়েন্দাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, মায়ানমারে যারা ওই সমস্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, তারা বাংলাদেশে লুকিয়ে আছে কিনা তা খুঁজে বের করার। যখনই তাদের খোঁজ পাওয়া যাবে, তখনই তাদের ধরে মায়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে কেউ প্রতিবেশী দেশে কোনো অঘটন ঘটাবে, কখনো মেনে নেয়া হবে না।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট