সুবিদবাজারে দূর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত নির্মাণ শ্রমিকের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত: ২:০৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০১৬

Manual5 Ad Code

সিলেট নগরীর সুবিদবাজারে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত নির্মাণ শ্রমিক রাজিকুল ইসলাম রাজু (২২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার বাদ আছর নিহতের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার সোনাপুর গ্রামে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

Manual5 Ad Code

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ও বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মৃত তেরাব আলীর পুত্র তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে গতকাল শনিবার সকালে সিলেট কতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি নং ১৩। হত্যাকান্ডের ঘটনায় শনিবার ভোরে এমদাদুল হক নামের একজনকে আটক করেছে কতোয়ালী থানা পুলিশ। সে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কানিশাইল গ্রামের দুলাল আহমদের পূত্র।

এদিকে, রাজিকুল ইসলাম রাজু নিহতের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। রাজু’র মায়ের আহাজারিতে বিশ্বনাথের সোনাপুর গ্রামের বাতাস ভারী হয়ে গেছে। গতকাল বিকেলে রাজু’র লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। রাজুকে একনজর দেখতে বাড়িতে এলাকার লোকজন ভিড় জমান। বিকেল ৫টায় সোনাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজের পূর্বে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফয়ছল আহমদের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসিক মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য এখলাছুর রহমান, জিল্লুল হক, বশির মিয়া, সমাজ সেবক মঈন উদ্দিন, এলাকার মুরব্বি কাছা মিয়া, আতাউর রহমান, সামছুল ইসলাম, আকরম আলী, মাশুক মিয়া, আলতাব আলী, জলাল উদ্দিন, সামছুজ্জামান, সেবুল সরকার, নিহতের বড় ভাই হাফিজ তাজুল ইসলাম, মামাতো ভাই মাওলানা মাহবুবুর রহমান। জানাযার নামাজ শেষে পরিবারিক করস্থানে নিহতের দাফন সম্পন্ন করা হয়।

Manual4 Ad Code

বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মৃত তেরাব আলীর পুত্র রাজিকুল ইসলাম রাজু সিলেট নগরীর সুবিদবাজার বনকলাপাড়া ৪২/১৭ নং আরশ আলী মামার বাসায় বসবাস করে রাজমিস্ত্রি কাজ করে আসছিল। শুক্রবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় সুবিদবাজারস্থ রিফাত এন্ড কোম্পানীর সামনে দুর্বৃত্তরা রাজুকে চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় ও পথচারী লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। এরপর শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রাজুর মৃত্যু হয়।

সিলেট কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যার ক্লু উদঘাটনের জন্য পুলিশ তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সকল আসামীদেরকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Manual7 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code