৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০১৯
নয়াদিল্লি: ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল জানতে এবার অনেক দেরী হতে পারে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন।
কর্মকর্তারা মনে করছেন, বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে গণনা শুরু হলেও ২৩ তারিখ অনেক রাতে হয়তো ফলাফল জানা যাবে। তবে প্রতি রাউন্ডের শেষে অন্যান্য বারের মতোই ফলাফল জানানো হবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। খবর বিবিসির।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র উপ নির্বাচন কমিশনার উমেশ মিশ্র জানিয়েছেন, “ইভিএমের ভোট গণনার পরে ভিভিপ্যাট যন্ত্রের কাগজের স্লিপ গোণা শুরু হবে। তারপরে দুটি যন্ত্রের ভোটের সংখ্যা মিলিয়ে দেখা হবে।”
কেন্দ্র পিছু পাঁচটি করে বুথের ইভিএম আর ভিভিপ্যাটের ফল মেলানো হবে। এই পাঁচটি বুথ বাছাই করা হবে লটারির মাধ্যমে।
ভারতের ভোট নেওয়ার জন্য বৈদ্যুতিক ভোট যন্ত্র বা ইভিএম ব্যবহার শুরু হওয়ার পর থেকে গণনার দিন দুপুরের মধ্যেই মোটামুটিভাবে স্পষ্ট হয়ে যায় ফলাফল।
কিন্তু এবারের ভোটে সব কেন্দ্রেই ইভিএমের সঙ্গে যুক্ত যে ভিভিপ্যাট যন্ত্র বা ব্যবহার করা হচ্ছে, তা একটি একটি করে গুণতে হবে। ইভিএমের ভোটের সঙ্গে ভিভিপ্যাট যন্ত্রের ফলাফল না মিললে আবারও গুণতে হবে ভোট। তারপরেই ফলাফল প্রকাশ করা যাবে।
একেকটি ভিভিপ্যাট যন্ত্রের ভোট গুণতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগবে। যদি একবারেই মিলে যায় ফল, তাহলেও একেকটি কেন্দ্রে ফল ঘোষণা হতে অন্তত পাঁচ ঘণ্টা বেশি সময় লাগবে।
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী কয়েক দশক ধরে নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করেন।
তিনি বলছিলেন, “প্রতিটা ভিভিপ্যাট যন্ত্রের স্লিপ একটা একটা করে গুণতে হবে। যদি ইভিএমের সংখ্যার সঙ্গে সেটা না মেলে তাহলে আবারও গুণতে হবে।”
“তাই ব্যালটের যুগে যেমন গণনা শেষ হতে প্রায় ৭২ ঘণ্টা সময় লাগত, আমার ধারণা এবার প্রক্রিয়াটা শেষ হতে অন্তত তিরিশ ঘণ্টা সময় লাগবে।”
তিনি ব্যাখ্যা করছিলেন, যদি একটি ইভিএমে কোনও প্রার্থী ৭২৩টি ভোট পায় আর ভিভিপ্যাটের স্লিপ গুণে দেখা গেল ৭২২ হচ্ছে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আবারও গুণতে হবে।
ভিভিপ্যাট যন্ত্র আসলে কী?
ভিভিপ্যাট যন্ত্রটি আদতে একটি প্রিন্টার।
ইভিএমে ভোট দেওয়ার পরে ভোটার নিজেই ওই প্রিন্টার থেকে ছাপা হয়ে বের হওয়া কাগজের স্লিপে দেখে নিতে পারবেন যে তিনি যেখানে ভোট দিয়েছেন, সেখানেই ভোট পড়েছে কী না।
তবে ওই প্রিন্টার থেকে কাগজের স্লিপটি ছিঁড়ে নেওয়া যাবে না, শুধু চোখে দেখা যাবে।
নাগাল্যান্ড বিধানসভার নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভিভিপ্যাট পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম চালু করা হয়। তারপরে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আটটি কেন্দ্রে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
২০১৭ সালে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে সব বুথেই ব্যবহৃত হয়েছিল ভিভিপ্যাট। আর এবার দেশের সব কেন্দ্রের সব বুথে এই যন্ত্র লাগানো হয়েছিল।
অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠত যে ইভিএমে এক প্রার্থীকে ভোট দেওয়া হলেও অন্য প্রার্থীর কাছে সেই ভোট চলে যাচ্ছে।
ভোট পরিচালনায় আরও স্বচ্ছতা আনতেই ভিভিপ্যাট যন্ত্র ব্যবহার শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রতিটি কেন্দ্রের ৫টি করে বুথের ভিভিপ্যাট যন্ত্রের সঙ্গে ইভিএমের ভোট মিলিয়ে দেখতে হবে।
বিরোধী দলগুলো আদালতে মামলা করেছিল এই দাবী নিয়ে যে কেন্দ্র পিছু অন্তত ৫০ শতাংশ বুথেই এই নিয়ম চালু হোক। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আদালতকে বলেছে, সেটা করতে গেলে ফল ঘোষণা হতে পাঁচ দিন সময় লেগে যেতে পারে।
দুই দশক আগে পর্যন্তও যখন সব বুথে ইভিএম ব্যবহার করা হত না, ব্যালটে ভোট নেওয়া হত। তখন গণনা শেষ হতে দুই থেকে তিন পর্যন্ত সময় লাগত।
একেকটি ব্যালট বাক্স প্রার্থীর এজেন্টদের সামনে নিয়ে এসে সীল ভাঙ্গা হত। একই কেন্দ্রের নানা বুথের ব্যালট বড় বাক্সে মিশিয়ে দেওয়া হত, তারপরে একেকটি গোছা ব্যালট পেপার নিয়ে গণনা কর্মীরা প্রার্থীদের নাম লেখা খোপ কাটা বাক্সে ভরতেন প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের দেখিয়ে নিয়ে।
তারপরে ব্যালট একটি একটি করে গোণা হত। দিনরাত ধরে চলত ভোট গোনা – যতক্ষণ না চূড়ান্ত ফল বেরচ্ছে।
কিন্তু ইভিএম আসার পর থেকে একটি বোতাম টিপলেই ওই যন্ত্রে কোন প্রার্থী কত ভোট পেয়েছেন, সেই সংখ্যাটি ডিসপ্লে স্ক্রিনে চলে আসে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D