৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:০৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০১৮
বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে মনগড়া ও বানোয়াট অভিযোগ করে সংশ্লিষ্টদের মনোবল ভেঙে দেয়ার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে ১৪ দল।
গত কয়েক দিনে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ইসিতে যেসব দাবি ও অভিযোগ করা হয়েছিল, তা খণ্ডন করে ১৪ দলের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ১৪ দলের একটি প্রতিনিধিদল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যান।
নির্বাচন কমিশন থেকে বের হয়ে প্রতিনিধিদলের প্রধান দিলীপ বড়ুয়া উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের চেষ্টা করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তারা একদিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আবার প্রতিদিন নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে মনগড়া ও বানোয়াট অভিযোগ করে সংশ্লিষ্টদের মনোবল ভেঙে দেয়ার অপচেষ্টা করছে।
১৪ দলের নেতা বলেন, বিএনপি প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বক্তব্য রাখছে অথচ ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন একজন আইনজ্ঞ হয়েও এ বিষয়ে কিছুই বলছেন না। বিএনপি যে দাবিগুলো উত্থাপন করছে সেগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।
১৪ দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের নিকট জমা দেয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়, নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বিএনপির প্রায় সাড়ে চার হাজার প্রার্থীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যম স্কাইপির ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে লন্ডন থেকে যুক্ত ছিলো সাজাপ্রাপ্ত আসামী তারেক রহমান। ১৪ দলে লিখিত অভিযোগে এটাকে বাংলাদেশের সংবিধানবিরোধী বলে উল্লেখ করে ।
তারা জানান, বিচারপতি মো. কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এটিএম সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ দণ্ডিত তারেক রহমান যাতে বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে বক্তব্য প্রচার না করে সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই তিনি যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সেটি উচ্চ আদালতের রায়ের লঙ্ঘন ও বেআইনি।
গত বৃহস্পতিবার পুলিশ প্রসাশনের ৭০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জনপ্রশাসনের ২২ জন কর্মকর্তাদের দলীয় চিহ্নিত করে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে তাদেরকে প্রত্যাহারের দাবিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লখ করে ১৪ দল বলে, এটি অসত্য ও বাস্তবতা বিবর্জিত।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট বাক স্বাধীনতার নামে বাক্য সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। এতে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামীর প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি নির্বাচন করবেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত দলটির কেউ যাতে নির্বাচনে কোনোভাবেই অংশ নিতে না পারে সেই দাবিও জানায় ১৪ দল।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ ৯২ জন কর্মকর্তার প্রত্যাহারের দাবিও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন তারা।
প্রতিনিধি দলে ১৪ দলের পক্ষ থেকে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির কামরুল আহসান, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, জাসদের নাদের চৌধুরী ও সাজ্জাদ হোসেন, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ সময় ইসি কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D