জিয়া ও মোশতাকের মরণোত্তর বিচার দাবি হানিফের

প্রকাশিত: ৮:২১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০১৬

জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী দাবি করে তার এবং খন্দকার মোশতাকের মরণোত্তর বিচার দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। এজন্য তিনি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে পরিকল্পনাকারীদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানান।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস স্মরণে অনুষ্ঠানে এসব দাবি জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে পাকিস্তানী আদর্শে দেশ পরিচালনা করেন উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপি পাকিস্তানি আদর্শের দল। পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নেই এ দলটি নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার সময় ফুরিয়ে এসেছে।

পাকিস্তানি আদর্শের এ রাজনীতিবিদদের নির্মূল করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এরা নির্মূল না হলে বাঙালি জাতির বিভক্তি রোধ করা যাবে না।

বিএনপির কর্মীরা রাজধানীতে রিকসা চালায় দেখে মির্জা ফখরুলের কান্নার সমালোচনা করে হানিফ বলেন, এ কর্মীই যখন পেট্রোলবোমা মেরে, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, তখন তার এ কান্না কোথায় ছিল?

তিনি বলেন, বিএনপির এসব পলাতক কর্মীরা বিভিন্ন পরিবারের কর্তা ব্যক্তিকে হত্যা করে তাদের পথে বসিয়েছে, কত শিশুর উপর পেট্রোলবোমা হামলা চালিয়ে পঙ্গু করেছে, সে খবর কি ফখরুল সাহেব রেখেছেন, রাখেননি। আপনাদের চোখে তাই পানি মানায় না।

হানিফ বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালে মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে এই অসমশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং এদের নির্মূল করতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে বর্তমানে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে, তা ধরে রেখে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। তাহলেই এ অপশক্তিকে প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা যাবে এবং তার আত্মা শান্তি পাবে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল হক আলো, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মেম্বার অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম প্রমুখ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট