রামপাল বিতর্ক : বিএনপির অবস্থান চাপে ফেলবে সরকারকে?

প্রকাশিত: ৬:৪৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০১৬

বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া রামপালে বিতর্কিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সরকারি সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী আখ্যায়িত করে এটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

এর আগে মাঝে মধ্যে রামপাল প্রকল্পের বিরোধিতা করলেও এবারই প্রথম বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পটি বাতিলের দাবি করা হলো।

বাগেরহাটের রামপালে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে অনেক দিন বিতর্ক হচ্ছে। সুন্দরবনের কাছে এ ধরনের প্রকল্প বাতিলের দাবিতে আন্দোলনও করছে কয়েকটি সংগঠন।

আন্দোলনকারীদের দাবি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি হবে যদিও সরকারের তরফ থেকে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে শুরু থেকেই।

তারপরেও রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন আর তাদের অনেকে মনে করেন দাবিটির স্বপক্ষে জনমতও অনেকটা শক্ত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহেও এ প্রকল্পের দাবিতে চলছে ব্যাপক প্রচারণা যেটি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারত বিরোধিতাতেও রূপ নিচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

এমনকি প্রতিবাদের মুখে পড়েছেন ভারতীয় হাই কমিশনারও। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তার যাওয়ার পথে বিক্ষোভ করেছে একদল তরুণ।

রামপাল ইস্যুতে এই যখন পরিস্থিতি তখন বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে অবস্থান প্রকাশে এতো সময় নিলো কেন?

রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলছেন রামপাল জনপ্রিয় ইস্যু, বামপন্থীরা আছে অনেকদিন থেকে এবং এখন বিএনপি যোগ দেয়াতে আন্দোলন আরো জোরদার হবে।

তিনি আরো বলেন, এটাতে ভারতের সাথে সম্পর্কের ব্যাপার আছে। অনেক দিন ধরে বিএনপি ভারতের সাথে সম্পর্ক সহজীকরনের চেষ্টা করেছে। এখন এ ইস্যুতে যে অবস্থা সেটি বাংলাদেশ সরকার ও ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান। সেজন্যই সময়টা লেগেছে। কৌশল পরিবর্তনে সময় তো লাগবেই।

কিন্তু বিএনপি কি সক্রিয় কর্মসূচি বা আন্দোলনে যেতে পারে এ ইস্যুতে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন কর্মসূচি হয়তো দেবে কিন্তু আন্দোলন নিয়ে সংশয় আছে। কারণ বিএনপিকে কোনো বড় আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে বলে মনে হচ্ছেনা।

যদিও এ ইস্যুতে আন্দোলন হওয়া উচিত বলেই মনে করেন আহমেদ।

তিনি বলেন, বিএনপির অবস্থান নেয়ার কারণে সরকারের ওপর চাপ বাড়বে। সবাই তো বলছে প্রকল্পটি সরিয়ে অন্য জায়গায় নেয়ার জন্য। সে কারণে আন্দোলন জোরদার হলে হয়তো সরকারের অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে।

তবে এ মূহুর্তে সরকারের অবস্থান পরিবর্তনের মতো অবস্থান নেই বলেই মনে করেন আহমেদ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট