অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আলী আজ বিকাল পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার ছোট ছেলে ইমরান আলী জয় খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
ফুসফুসে পানি এবং হার্টের সমস্যা নিয়ে তিনি হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আবদুল কাদের আখন্দের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। অবস্থার অবনতি দেখে তাকে হাসপাতালের সিসিও বিভাগের ৬ নম্বর বেডে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
জয় বলেন, ‘গত ১৯ আগস্ট আমরা বাবা ও মায়ের ৪১তম বিবাহবার্ষিকীর আয়োজন করছিলাম। এদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ বাবা চিৎকার করে ওঠেন। তার সারা শরীর ঘামতে থাকে। সাথে সাথে আমরা বাবাকে ওয়ারী বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওইখানের ডাক্তাররা বাবার আগের প্রেসক্রিপশন দেখেন। কয়েক মাস আগে বাবার চিকিৎসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে হয়েছিলেন। ডাক্তাররা সেই প্রেসক্রিপশন দেখে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। বাবাকে ওই দিনই সেখানে ভর্তি করানো হয়। বাবার পা দুটি অবশ এবং ফুসফুসে পানি জমে গিয়েছিল। আমরা বাবার জন্য সবার দোয়া করবেন।’
একাডেমিক শিক্ষায় তেমন অগ্রসর না হয়েও তিনি অভিনয় জগতে দেখিয়েছেন পারদর্শিতা। কৌতুক অভিনয়ে তিনি দর্শকমনে এখনো দাগ কেটে রয়েছেন। বিশেষ করে ‘টাকা দেন দুবাই যাব, বাংলাদেশে থাকবো না’ এই সংলাপটির সাথে যারা পরিচিত তারা এক বাক্যেই উচ্চারণ করবেন অভিনেতা ফরিদ আলীর নাম। শুধুমাত্র অভিনয় নয়, নাটক লেখা ও নির্দেশনায়ও সিদ্ধহস্ত ছিলেন এই শিল্পী।
শহীদুল আমীনের লেখা ‘কনে দেখা’ নাটকে একটি মাত্র নারী চরিত্রে অভিনয় করে ১৯৬২ সালে তিনি অভিনয় যাত্রা শুরু করেন। অসংখ্য মঞ্চ নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন।
প্রফেসর মুনীর চৌধুরীর লেখা ‘একতলা দোতলা’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৬৪ সালে তিনি প্রথম টিভিতে দৃশ্যমান হন। তার নিজের লেখা প্রথম টিভি নাটক হলো-‘নবজন্ম’। অভিনেতা ফরিদ আলীর চলচ্চিত্রে পদার্পণ ১৯৬৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘ধারাপাত’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। তখন থেকে একাধারে বহু ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জীবন তৃষ্ণা, শ্লোগান, চান্দা, দাগ, অধিকার ইত্যাদি।
সংবাদটি পঠিত : 508