বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সামরিক মহড়া ৬ নভেম্বর শুরু

প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০১৭

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সামরিক মহড়া ৬ নভেম্বর শুরু

দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্ক আরো জোরদার করতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সামরিক মহড়া ‘সম্প্রীতি-২০১৭’ আগামী ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। চলবে আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।

ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বাইরেংটিতে অবস্থিত জঙ্গল ওয়ারফেয়ার স্কুল ও মেঘালয় রাজ্যের উমরইয়ের জয়েন্ট ট্রেনিং নোড-এ এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, প্রতি বছরই এ সময়টা ভারত এবং বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মিলে এ ধরণের একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।

এক্সারসাইজ সম্প্রীতি আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো আংশিক-পার্বত্য বনভূমি অঞ্চলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে দু’ দেশের সেনাবাহিনীর পরস্পরের সঙ্গে কাজ করার যোগ্যতা বৃদ্ধি।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা দফতরের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা কর্নেল সি কুনওয়ার বলেন, ‘এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সামরিক মহড়া সম্প্রীতি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে এই বার্তা যাবে যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের উদীয়মান হুমকির বিষয়টি বাংলাদেশ ও ভারত ভালোভাবে অনুধাবন করতে পেরেছে এবং এই আতংক মোকাবেলায় তারা কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছে।’

প্রতিবছর ভারত ও বাংলাদেশে পালাক্রমে সামরিক মহড়া ‘সম্প্রীতি’ আয়োজন করা হয়। প্রতিবেশি দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক সৃষ্টি ও জোরদার করা এই মহড়ার লক্ষ্য।

ওই জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে ইন্টেরোপ্যারাবিলিটি জোরদার এবং বিদ্রোহদমন বা সন্ত্রাসদমন অভিযান পরিচালনায় পরস্পরকে অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করা এই মহড়ার লক্ষ্য।’

‘সম্প্রতি’ মহড়ার আগের সংস্করণ গতবছর বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের মহড়া অনুষ্ঠিত হবে দুটি রাজ্যে – এর মধ্যে রয়েছে কমান্ড পোস্ট এক্সারসাইস (সিপিএক্স) ও ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ (এফটিএক্স)। সিপিএক্স অনুষ্ঠিত হবে উমরইয়ে, ৬ থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। অন্যদিকে এফটিএক্স অনুষ্ঠিত হবে বাইরেংটিতে ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।

সেনা কর্মকর্তা বলেন, ব্রিগেড ও ব্যাটালিয়ন কমান্ড পোস্টের অংশ হিসেবে সিপিএক্স-এ দুই দেশ থেকে ২০ জন করে কর্মকর্তা অংশ নেবেন।

এফটিএক্স-এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক কোম্পানি এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর এলিট রেড হর্নস ডিভিশনের একটি কোম্পানি অংশ নেবে।

তিনি জানান, সিপিএক্স-এ আধা-পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসদমন অভিযান পরিচালনার জন্য যৌথ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। বিশেষ করে গভীর জঙ্গলে অভিযান চালানোর বিষয়টি থাকবে মনযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে। অন্যদিকে, এফটিএক্স-এ ফিজিক্যাল কন্ডিশনিং, হেলিকপ্টারবাহী স্পেশাল অপারেশন, ইমপ্রভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস নিষ্ক্রিয়করণ, ঘেরাও ও তল্লাসি অভিযান এবং সন্ত্রাসদমন দৃশ্যপটে কোম্পানি ও প্লাটুন পর্যায়ে ট্যাকটিক্যাল ড্রিলের গুরুত্ব দেয়া হবে।