শহীদ জিয়ার অন্যতম মূলমন্ত্র সকল ক্ষমতা থাকবে বিএনপি’র। মনে রাখা দরকার শহীদ জিয়ার পরিবার ব্যতীত দলকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি যারা মনে করেন, তাদের কোনো ঈমান নেই।
হাজার হাজার সহযোদ্ধাদের বুকের রক্ত ও চোখের জল দিয়েও নেত্রীকে(খালেদা জিয়া)সঠিক পথে পরিচালিত করা যায়নি। এরই ফল ভোগ করছি আমরা সকল নেতাকর্মী। আজ আশঙ্কা সর্বত্র বিএনপি’র মধ্যে।খালেদা জিয়া আপনাকে বিনয়ের সহিত বলছি কর্মী ও সমর্থকরা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে দলের ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে। আজ দল মোনাফেক বেঈমান চাটুকার তেলবাজ মীরজাফর দিয়ে ভর্তি। নিজ দলের লোকই এখন শহীদ জিয়ার সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন করে।
আজ আমার দল বিএনপিকে অনেকের নিকট কাবিননামা করেছে। নেত্রীর(খালেদা জিয়া) সৎ উপদেষ্টার আজ বড়ই অভাব। কমিটিতে ৭৩ জন উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন, কিন্তু ১ জনও যোগ্য নয়। নিয়োগ বললাম এ কারণে নিকট অতীতে ঈদের পর নয়াপলটন দলীয় কার্যালয় এখন অনেক নেতাদের অফিসে পরিনত হয়েছে। সব বড় বড় নেতা এখন নিয়োগ বাণিজ্য করতে অফিসে আসে। একদিন দেখি, সবাই এসে তৃতীয় তলায় রিজভী ভাইকে খুঁজছে হন্যে হয়ে। আমি সালাম দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম আপনারা কাকে খুঁজছেন?? জবাবে উত্তর মিললো রিজভী ভাইয়ের। সময়টা বিকেল পাঁচটা। আমি বললাম উনি তো নেই। বেরিয়ে গেছেন। অনেকে বলে ফেললেন চাকরি তো নেই,তাই এখন এখানে থেকে কি করবেন?
যাই হোক প্রসঙ্গে আসি। আমাদের দল আজ ভাঙ্গনপ্রায়।আপোষহীন নেত্রী’র(খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে আজ সবাই।আমরা কেউই তাকে আর কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। নেত্রী তো ক্ষমতা চাইতে পারতেন, ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে আজ দলের এ অবস্থা করেছেন তিনি। জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে দূর্বার আপোষহীন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারতেন, কিন্তু তা না করে জামাত-শিবিরকে দিয়ে তিনি চালালেন সহিংসতা। জংগীবাদ চালিয়ে জামাত-শিবির আমাদের দেশেকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। আমাদের দেশের সকল উন্নয়ন যাতে থেমে যায় এটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। অথচ আমাদের দেশ এসব অস্থিরতার মধ্যেও প্রচুর উন্নয়ন করছে। কিন্তু আমাদের তথাকথিত রাজনীতিবিদরা নেত্রীর(খালেদা জিয়া)দেশকে ধ্বংস করার এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
-বিএনপি নেত্রীর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া