বিয়ানীবাজারে পাওনা টাকা না দিতে ‘মামলা দিয়ে হয়রানি’র অভিযোগ

প্রকাশিত: ৮:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫

বিয়ানীবাজারে পাওনা টাকা না দিতে ‘মামলা দিয়ে হয়রানি’র অভিযোগ

বিদেশ পাঠানোর পাওনা টাকা হজম করতে ও মামলা থেকে বাঁচতে সিলেটের বিয়ানীবাজারে জামায়াত নেতার ভাই ও তাবলিগ জামাতের এক মুরব্বিকে রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলার ভয় দেখিয়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকেও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়।

বিয়ানীবাজার পৌরসভার খাসা গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী জয়নুল ইসলাম জবু সোমবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত বদরুল ইসলাম উপজেলার কোনাগ্রাম বাগবাড়ির ছিদ্দেক আলীর ছেলে।

লিখিত বক্তব্যে জবু উল্লেখ করেন তিনি ২০২৪ সালের শুরুর দিকে তার ভায়রার ছেলে মেহদী হাসান ইমনকে ইউরোপে পাঠানোর উদ্যোগ নেন। তখন তার বাড়ির তৎকালীন ভাড়াটিয়া আঙ্গুরা গ্রামের ইছরাব আলীর ছেলে মামুন উদ্দিন ও তার ভাই হাসান আহমদের মাধ্যমে পরিচয় হয় তাদের মামা বদরুল ইসলামের সাথে। বদরুল ইউরোপে লোক প্রেরণ করার কথা জানালে তার সাথে চুক্তি করা হয়। গত বছরের ৫ জানুয়ারি ইটালি প্রেরনের জন্য ১০ লাখ টাকা সাব্যস্থ হয়। সেই অনুযায়ী ২১ জানুয়ারি ৭০ হাজার ও ২৫ জানুয়ারি ৬ লাখ ৮০ হাজার ১০০ টাকা বদরুলকে প্রদান করা হয়। কিন্তু তিনি ইমনকে বিদেশ পাঠাতে পারেননি। টাকা ফেরত চাওয়া হলে টালবাহানা শুরু করেন বদরুল। স্থানীয়ভাবে এ নিয়ে শালিস ঢাকা হলেও তিনি উপস্থিত হননি। পরে আত্মীয়ের টাকা তিনি পরিশোধ করেন।

জয়নুল ইসলাম জবু জানান টাকা ফেরত না দেওয়ায় গত বছরের ১৬ এপ্রিল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নং আমলী আদালত সিলেটে বদরুল, তার ভাগনা মামুন ও হাসানের বিরুদ্ধে মামলা (১৭২/২৪) করেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। মামলার খবর পেয়ে নানাভাবে উৎপাত শুরু করেন বদরুল। গত ৫ আগষ্ট বিয়ানীবাজার পৌর শহরে ছাত্রজনতার মিছিলে হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনসহ নানা অভিযোগে ১ অক্টোবর থানায় একটি মামলা করেন বড়গ্রামের নাজমুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে তাজিম চৌধুরী নামে এক ব্যাক্তি। মামলায় তাকে ২১ নং আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদি তাজিম চৌধুরী আসামি বদরুল ইসলামের শ্যালক। বদরুলই তার শ্যালককে দিয়ে আসামি করিয়েছেন। তখন তিনি তাবলীগ জামাতে ছিলেন।

জবু জানান, বদরুল টেলিফোনে রাজনৈতিক মামলার ভয় দেখান ও পরে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী ও একমাত্র কন্যার কাছ থেকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে ৪০ হাজার টাকার চেক নিয়ে আসেন। মামলার বিষয়টি তার ভাই পৌর জামায়াতের রোকন শিহাবুল ইসলাম জানার পর বাদি তাজিমের সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে একটি অডিও কথোপকথন প্রকাশ পায়। জবু বলেন অডিওতে আমার ভাই বাদি তাজিমকে বলছেন- ‘কারো ব্যাক্তিগত বিরোধ থেকে কেন মামলা করেছেন। আগে জানা উচিত ছিল। এখন লোকজন আমাকে দোষছে। উত্তরে আজিম জানান- তিনি আসামিকে অর্থাৎ আমাকে চিনেন না। আমার দুলাভাই বদরুল তাকে আসামি করিয়েছেন’।

জবু প্রতারক বদরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।



 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট