ইউএনবির জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন: উদ্ভাবন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার অঙ্গীকার

প্রকাশিত: ১০:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫

ইউএনবির জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন: উদ্ভাবন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার অঙ্গীকার

বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) চলতি বছরের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দ্রুত বিকশিত হওয়া ডিজিটাল যুগে নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য সাংবাদিকতায় অবিচল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মালিবাগের কসমস সেন্টারে দিনব্যাপী এই সম্মেলনে নিউ মিডিয়ার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রিপোর্টিংয়ে সততা ও যথার্থতা বজায় রেখে জেলা প্রতিনিধিরা যাতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন; সেই দিকেও আলোকপাত করা হয়েছে।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। পরে জেলা প্রতিনিধিদের দিকনির্দেশনা দেন এবং আলোকচিত্রের পাশাপাশি সাংবাদিকতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব তুলে ধরেন। ছবি তোলার ক্ষেত্রে কেবল যথার্থতা ও মান বজায় রাখাই নয়; সৃষ্টিশীলতা আনার বিষয়েও জোর দেন এই আলোকচিত্রী।

বৈশ্বিক ও স্থানীয় আলোকচিত্রীদের তোলা বিভিন্ন ছবির বিশ্লেষণ করে জেলা প্রতিনিধিদের দিকনির্দেশনা দেন দৃক পিকচার লাইব্রেরি ও পাঠশালার এই প্রতিষ্ঠাতা।

সাংবাদিকতায় আলোকচিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরে শহিদুল আলম বলেন, ‘বার্তাকক্ষে অনেক ক্ষেত্রে ছবিকে গুরুত্ব দিতে চায় না। বাংলাদেশের অনেক সাংবাদমাধ্যমেই ফটো এডিটরের পদ নেই। অথচ আমার হাতের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার কাজে লাগাব বিশ্বাস থেকে ফটোগ্রাফি শুরু করেছিলাম আমি। আলোকচিত্র সেটা বলেই আমি এটা বেছে নিয়েছিলাম। এখনো আলোকচিত্র শক্তিশালী।’

‘কিন্তু আজকে যদি আমি শুরু করতাম, তাহলে সামাজিকমাধ্যমের ওপর যোগ্যতা বাড়াতে চাইতাম। কারণ এটা অনেক শক্তিশালী। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে কাজ করতাম। কারণ যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সেটাও অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।

ডিজিটাল যুগে এসেও ‘আলোকচিত্র এখনো শক্তিশালী’ মন্তব্য করে দৃক পিকচার লাইব্রেরির এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘কেউ যদি সামাজিকমাধ্যমে একটা লেখা দেন, সঙ্গে ছবি থাকলেই কেবল সেটা ভাইরাল হবে। লেখার সাথে একটা ছবি কিংবা ভিডিও থাকলে সেটা ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। শুধু লেখা জীবনেও ভাইরাল হয় না।’

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতায় ইউএনবির অঙ্গীকার;

এ সময়ে সাংবাদিকতায় ‘নিরপেক্ষতাই’ একমাত্র সম্পদ; এটা বজায় রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউএনবির ইমেরিটাস সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খান।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। যার প্রভাবে প্রতিটি বার্তাকক্ষে একটা তাণ্ডব হয়ে গেছে। কিন্তু ইউএনবি ছিল ব্যতিক্রম। এখনো কোনো কিছুই হয়নি। কারণ গেল প্রায় চার দশক ধরে নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা চর্চা করে আসছে ইউএনবি।’

সম্মেলনে আগত জেলা প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান ইউএনবির নির্বাহী সম্পাদক নাহার খান। আসছে দিনগুলোতে সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ ও সুবিধাবলি তুলে ধরে পেশাগত কাজে সততা ও উদ্ভাবনের প্রতি জোর দেন তিনি। বিভিন্ন সংকটে সংবাদ প্রকাশের জেরে সরকার কীভাবে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়; উদহারণসহ তা উল্লেখ করেন নাহার খান।

তিনি বলেন, ‘দেশে একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। রাজনৈতিক অনেক অশান্তি ছিল, এখনো চ্যালেঞ্জ আছে। কিন্তু প্রতিটি চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সুযোগও থাকে, সেই সুযোগগুলোতে আলোকপাত করে আমরা কথা বলতে চাই। মিডিয়া হাউসগুলোতে যখন ক্রাইসিস দেখা দেয়, তখন সেটির ওপর মানুষের আস্থা একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। যখন ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার অনেক সুযোগ থাকে, তখন সংবাদমাধ্যমের দায়িত্বও বেড়ে যায়।’

‘পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের উদ্ভাবন নিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকতায় আমরা কীভাবে সততার সাথে উদ্ভাবনের পথে এগিয়ে যেতে পারি, সেটি মাথায় রেখেই আমরা এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছি। রাজনীতির বাইরে জেলা ও অঞ্চলগুলোতে যেসব ঘটনা ঘটছে, সেসব ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা রিপোর্টের মাধ্যমে জনগণকে সাহায্য ও সহযোগিতা করতে পারে,’ বলেন ইউএনবির নির্বাহী সম্পাদক।

উদহারণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সুনামগঞ্জে আকস্মিক বন্যার ওপর যখন রিপোর্ট আসতে শুরু করে, তখন আমাদের সরকার অনেক জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে। এই সংকটটি আরও ক্ষতিকর হতে পারতো। কিন্তু রিপোর্ট প্রকাশের পর সরকার তড়িতগতিতে পদক্ষেপ নিয়েছে।

রিপোর্টের মাধ্যমে আমাদের সিস্টেম ও মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। নাহার খান বলেন, ‘সাংবাদিকতা অনেক শক্তিশালী। যখন রিপোর্ট দেবেন, তখন ভাববেন দেশের আমরা কী পরিবর্তন আনতে পারি, মানুষের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে।’

সাংবাদিকতার বিষয়াদি নিয়ে প্যানেল আলোচনা;

সম্মেলনে পরিবেশ সাংবাদিকতা, ফ্যাক্ট-চেকিং, গণমাধ্যম আইন নিয়ে জেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।

এতে বক্তব্য রাখেন, ওয়াশিংটনভিত্তিক উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আফসান চৌধুরী, ওয়াইল্ডটিমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল ইসলাম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আমিনুল করিম ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা।

এছাড়াও কথা বলেন ইউএনবির উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ও ঢাকা কুরিয়ারের নির্বাহী সম্পাদক শায়ান এস খান।

জেলা প্রতিনিধিরা কীভাবে রিপোর্টিং করবেন, তা নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন সাংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির দুটো পরিসর আছে। একটা হচ্ছে ফরমাল, অন্যটি ইনফরমাল। দেশের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ অর্থনীতি ইনফরমাল। এতে রাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই।

‘অথচ আমাদের সব কিছু রাষ্ট্রকেন্দ্রিক। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সরকারি অর্থনীতির ওপর নির্ভর করে না। আবার বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল। কারণ আমাদের বেশিরভাগ রেমিট্যান্স আসে প্রবাসীদের কাছ থেকে।’

এই প্রবাসীরা বিভিন্ন জেলা থেকে বিদেশে গিয়ে সেখান থেকে থেকে রেমিট্যান্স পাঠান, জেলা প্রতিনিধিদের সেই দিকে নজর দিতে হবে উল্লেখ করে আফসান চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রমবাজারের আকার ৭৫ মিলিয়ন হবে। এরমধ্যে সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ বিদেশে কাজ করেন ২৫ মিলিয়ন। অর্থাৎ এই মানুষগুলো দেশে থাকেন না। অথচ এই মানুষগুলোই সরকারকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। তারা যে টাকা পাঠান, সেটা বাকি ৫০ মিলিয়ন যা আয় করন, তার চেয়ে বেশি।’

‘তার মানে, আপনার দেশ বাংলাদেশে থাকে না, আপনার দেশ বাইরে। এই বাস্তবতাকে স্বীকার না করে আমরা সাময়িকভাবে এমন একটি ধারণায় রিপোর্টিং করি, যাতে এটা অনুপস্থিত থাকে। আমাদের রিপোর্টে মূল কেন্দ্রবিন্দু থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। যেন সরকারই সবকিছু করে দিচ্ছে।

রিপোর্টিং করার সময় প্রবাসীদের বিশাল অবদানের কথা মাথায় রাখতে হবে মন্তব্য করে এই গবেষক বলেন, ‘বাংলাদেশকে দখল নেওয়া সম্ভব না, কারণ বাংলাদেশ একটা না। বাংলাদেশ অনেকগুলো। এই বাস্তবতা জেলা প্রতিনিধিদের বেশি করে জানা দরকার। আপনাদের রিপোর্টিং যদি হয় কেন্দ্রকে চিন্তা করে, তাহলে আপনারও বলবেন যে সরকার এটা করেছে, ওটা করেছে। কিন্তু আপনার এলাকায়ই ইতিহাস ঘটছে, আপনি সেই ইতিহাসের দিকে তাকাচ্ছেন না।’

সামরিক কৌশল ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আমিনুল করিম বলেন, ‘সাংবাদিকতা এমন একটি ব্যবস্থা, যা পুরো জাতিকে জাগ্রত রাখতে পারে। সে কাজটা আপনারা সুন্দরভাবে করছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল্যবোধের যথেষ্ট অবক্ষয় হয়েছে। এটা যদি ঠিক না থাকে, তাহলে কোনো কিছুই ঠিক হবে না, যতই লেখাপড়া করুক না কেন! দুর্নীতি আমাদের শেষ করে দিচ্ছে। এটা থেকে মুক্তি না মিললে আমরা কাজ করতে পারব না।’

এ সময়ে দেশের অর্থনীতিতে ব্লু ইকনোমির অবদান উল্লেখ করে সাংবাদিকরা এ ক্ষেত্রে কী ভূমিকা রাখতে পারে তা তুলে ধরেন তিনি।

আমিনুল করিম বলেন, আমাদের ভূস্থলে কোনো রিসোর্স নেই, যদি বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান না করি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ খুবই দুর্বল। ফিশারিজ ও অ্যাকোয়াকালচার বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রতি বছর হানড্রেড বিলিয়ন ডলার অবদান রাখছে। ২৬০ মিলিয়ন কর্মসংস্থানও আসছে এই খাত থেকে।

‘যে কোনো সিস্টেমের সাসটেইনাবিলিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাতে সেটা ২০০ বছর টিকে থাকে, সেই লক্ষ্য সরকারের থাকতে হবে। বাংলাদেশের টিকে থাকার ক্ষেত্রে বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা যদি সাগরকে আমাদের অংশ করে না নিই, তাহলে আমরা বাঁচতে পারবো না। সেখানে বিনিয়োগ করতে হবে,’ বলেন এই সামরিক বিশেষজ্ঞ।

প্লাস্টিক দূষণ বঙ্গোপসাগরে কীভাবে ঝুঁকি তৈরি করছে, সেই দিকেও ইঙ্গিত দেন এই শিক্ষাবিদ। সুন্দরবন মারা যাচ্ছে, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবেও বলেও মন্তব্য করেন আমিনুল করিম। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বনকে রক্ষা করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সারা দেশেই আমরা বন্যপ্রাণি নিয়ে কাজ করতাম। ২০০৯ সালে ভাবলাম যে আমাদের একটি সক্ষমতার জায়গা নির্ধারণ করা দরকার। তখন মনে হল, আমরা একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে পারি, আর সেটা হচ্ছে বাঘ। বাঘ যদি বাঁচে; তাহলে পুরো সুন্দরবন এমনিতেই টিকে যাবে। সুন্দরবন টিকে থাকলে জীববৈচিত্র্য টিকে থাকবে, আমরাও টিকে থাকবো।’

পরিবেশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক তৈরিতেও সাংবাদিকরা কাজ করে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘পরিবেশে কিংবা বাস্তুসংস্থানে কিছু ঘটলে তা আমাদের সামাজিক পরিবেশেও প্রভাব ফেলবে। আমাদের জীববৈচিত্র্যে একটা প্রচণ্ড চাপ রয়েছে, সুন্দরবনের চারপাশে ৭৬টি গ্রাম ও আটটি জেলা। এদের অনেকেই সুন্দরবনের ওপর নির্ভর করে। চার লাখ মানুষ সুন্দরবনের সম্পদের ওপর নির্ভর করছে। এই চাপ সুন্দরবন কতটুকু সামলাতে পারবে; আমি জানি না। এর বাইরেও ঢাল হিসেবে সুন্দরবন আমাদের যে সুরক্ষা দেয়, সেটা আর থাকবে না।’

‘এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা কিংবা জনগণকে যদি সম্পৃক্ত করা না যায়; তাহলে কোনোকিছুই টিকে থাকবে না। পরিবেশের চাপ আমাদের সমাজে কতটা প্রভাব ফেলছে, তা নিশ্চয়ই আপনারা দেখবেন। আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা কী রেখে যাচ্ছি, সেটাও আমাদের দেখতে হবে,’ যোগ করেন এই প্রাণিবিদ।

রিপোর্টারদের ভালো কাজের স্বীকৃতি;

২০২৪ সালে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য ইউএনবির জেলা প্রতিনিধিদের মধ্যে হোসেইন মালিক (চুয়াডাঙ্গা), শেখ দিদারুল আলম (খুলনা) ও সাইফুল ইসলাম শিল্পীকে (চট্টগ্রাম) সম্মাননা দেওয়া হয়। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার অন্তত ১০০ সাংবাদিক এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পূর্ণ ডিজিটাল বার্তা সংস্থা হিসেবে ১৯৮৮ সালে ইউএনবি প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপির সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে দেশের বেসরকারি এ সংবাদ সংস্থা যাত্রা শুরু করে। নিউজ এজেন্সি ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের (এনএডব্লিউসি) সদস্য ইউএনবি সর্বদা সংবাদের সত্যতা এবং যথার্থতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট