বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’, দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

প্রকাশিত: ২:১৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০১৭

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’, দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’ আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ায় এবং এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ নামটি প্রস্তাব করেছিল শ্রীলঙ্কা।

আবহওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, রবিবার সকাল ৬ টায় ঘুর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।  ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়া বিভাগ জানায়, এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেতের মানে হল- দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে, যার কেন্দ্রে থেকে ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার।

বন্দরে এ ঝড়ের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আপাতত না থাকলেও সাগরে থাকা জাহাজ ঝড়ের কবলে পড়তে পারে।

জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর শনিবার তা নিম্নচাপের রূপ নেয়। এরপর একই দিনে সেটি গভীর নিম্নচাপ ও পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি প্রতি ঘণ্টায় ২২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করছে। বর্তমান গতিপথ বজায় থাকলে রোববার মধ্যরাতের পর ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমারের সিত্তিউই ও স্যান্দোওয়ের মাঝামাঝি কোনো এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় রোববার অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে শনিবার বিকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখী ঝড়োহাওয়া ও ভারি বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছিল, শনিবার বিকাল থেকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বা কোথাও কোথাও আরও অধিক বেগে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট