ঝিনাইদহে মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ, ড্রেন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার

প্রকাশিত: ৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ, মে ১২, ২০১৯

ঝিনাইদহে মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ, ড্রেন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার

Manual7 Ad Code

ফেনীর সোনাগাজী থানায় মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার রেশ এখনও কাটেনি। এবার ঝিনাইদহে আরেক মাদরাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে হাত-পা বেঁধে ড্রেনে ফেলে দেয়ার খবর পাওয়া গেল।

Manual3 Ad Code

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা গ্রামের বেতনীপাড়ায় এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৪) তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হাত-পা বেঁধে ড্রেনে ফেলে পালিয়ে গেছে দুই যুবক। শনিবার ভোরে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করেন।

Manual4 Ad Code

ওই মাদরাসা ছাত্রীর বাবা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পাশের বাড়িতে মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে যায় তার মেয়ে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুই যুবক তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পর মেয়েটিকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ড্রেনের মধ্যে ফেলে দেয় তারা। দুই যুবকের মধ্যে আলামিন নামে একজনকে শনাক্ত করতে পেরেছে তার মেয়ে। ঘটনার পর আলামিন আত্মগোপনে রয়েছে।

ওই ছাত্রীর মা বলেন, রাতে পাশের বাড়িতে মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে যাওয়ার পর থেকে আর মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছিল না। মেয়ের বাবাও বাড়িতে ছিলেন না। পরে তিনি বাড়িতে এলে মেয়েকে রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। ভোরে গ্রামের লোকজন খবর দেয় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাঠে ড্রেনের মধ্যে মেয়ে পড়ে আছে।

Manual5 Ad Code

তিনি বলেন, মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখে ভেবেছিলাম মারা গেছে। পরে দেখি মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে মেয়েটি রাতের ঘটনা আমাদের জানায়।

Manual5 Ad Code

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুচ আলী বলেন, ওই মাদরাসাছাত্রীকে রাতে জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হাত-পা বেঁধে ড্রেনের মধ্যে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। তবে ধর্ষণ কি-না তদন্তের পর জানা যাবে।

তিনি আরও বলেন, তুলে নেয়ার সময় দুই যুবকের মধ্যে আলামিন নামে একজনকে শনাক্ত করতে পেরেছে মেয়েটি। এ বিষয়ে থানায় ধর্ষণ মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

কোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম বলেন, তিনি ঘটনা শুনেছেন। মেয়েটিকে ড্রেনের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল, সেটাও শুনেছেন। বিষয়গুলো তাঁরা তদন্ত করছেন। থানা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। এরপর থানায় মামলা হবে। দুই যুবককে আটকের চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code