২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:০১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২২
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া ঝর্ণা রেল ক্রসিংয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজন নিহতের ঘটনা তদন্তে গঠিত হয় দুইটি কমিটি। ইতিমধ্যে দুর্ঘটনার ১৮ দিন পর একটি তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে দায়িত্বরত গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মাইক্রোবাস চালক গোলাম মোস্তফা নিরুকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। এ দিকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আরমান হোসেনকে প্রধান করে গঠিত অপর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখনো জমা পড়েনি।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) পূর্বাঞ্চল রেলের ডিটিও আনসার আলীকে প্রধান করে গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) আবুল কালাম চৌধুরীর কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, প্রতিবেদনে খৈয়াছড়া ঝর্ণা রেল ক্রসিংয়ে দায়িত্বরত গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন এবং মাইক্রাবাস চালক গোলাম মোস্তফার দায় ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনকে ইতিমধ্যে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্তে তার গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার আগে গেটম্যান রেলক্রসিংয়ের বার ফেললেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। অপর দিকে মাইক্রোবাস চালক বার তুলে গাড়ি নিয়ে লাইনে উঠে যান। লাইনে ওঠার পর মাইক্রোবাসের স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে। লাইনের ওপর গাড়ি উঠার পর ট্রেন আসতে দেখে সম্ভবত চালক নার্ভাস হয়ে যান। তাই গাড়ি নিয়ে পার হতে পারেননি। তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশও করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই বেলা দেড়টার দিকে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা রেলক্রসিংয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় রেললাইনে উঠে পড়া মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন মারা যান। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজন মারা যান।
মাইক্রোবাসটিতে হাটহাজারীর আরএনজে কোচিং সেন্টারের ছাত্র ও শিক্ষকরা মিলে ১৮ জন ছিলেন। হতাহতরা সবাই হতাহত সবাই চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজারের খন্দকিয়া এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় খৈয়াছড়া রেলক্রসিং থেকে রেলওয়ে পুলিশ গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলাও করা হয়।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D