২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০১৮
‘যাদের চোখ নষ্ট তারা সরকারের উন্নয়ন দেখতে পারছে না, সমালোচনা নিয়ে না ভেবে দেশকে ভালবেসে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে বক্তৃতাকালে এ মন্তব্য করেন। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাবস্থায় আওয়ামী লীগের জনসভায় তার নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার বিষয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাব দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি তো নৌকায় ভোট চাইতেই পারি, কারণ আমি দলের সভানেত্রী, আমি যেখানে যাবো, সেখানেই ভোট চাইবো।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত শুধু মানুষ পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারে আর সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে। এটাই তাদের চরিত্র। আমরা যে উন্নয়ন করেছি, তা মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে।
এর আগে তিনি লুসি হেলেন ফ্রান্সেস হল্ট বাংলাদেশের মাটিতে সমাহিত হওয়ারই ইচ্ছা প্রকাশ করায় মানবতার সেবক এই ব্রিটিশ নারীর সে ইচ্ছা পূরণে সব ব্যবস্থা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা। দুই বোনের ঐকান্তিক চেষ্টায় এবার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেলেন লুসি হেলেন।
শনিবার বিকেলে গণভবনে দুই বোন নাগরিকত্বের সনদ লুসি হেলেন ফ্রান্সেস হল্টের হাতে তুলে দেন। এখন তার মৃত্যুতে বাংলাদেশেই সমাহিত করতে আর কোনও বাধা থাকবে না। সনদ তুলে দেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ লুসি হেলেন ফ্রান্সেস হল্টকে দ্বৈত নাগরিকত্ব দিলো। এতে অক্ষুণ্ন থেকে গেলো তার ব্রিটিশ নাগরিকত্বও। গত ২২ মার্চ সরকার এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে তিনি একজন বাংলাদেশের নাগরিকের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লুসি হেলেন ফ্রান্সেস হল্টকে ১৫ বছর মেয়াদি ভিসা সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, জন হোল্ট ও ফ্রান্সিস হোল্টের মেয়ে লুসি ১৯৩০ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সেন্ট হেলেন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা সমাপ্ত করে তিনি ১৯৬০ সালে প্রথম বাংলাদেশ সফর করেন। সে বছর তিনি বরিশাল অক্সফোর্ড মিশনে যোগ দেন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের শিক্ষা দেন। এরপর তিনি আর স্বদেশে ফিরে যাননি। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার টানে এখানেই থেকে যান। তিনি যশোর, খুলনা, নওগাঁ, ঢাকা ও গোপালগঞ্জে ৫৭ বছর ধরে কাজ করেন।
২০০৪ সালে অবসর নেওয়ার পর লুসি বরিশাল অক্সফোর্ড মিশনে ফিরে আসেন। অবসর জীবনে তিনি ইংরেজি শিক্ষা দেন ও দুস্থ শিশুদের মানসিক প্রণোদনা দেন। পাশাপাশি দুস্থ শিশুদের জন্য সামর্থ্যবানদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে লুসি হেলেনের অসামান্য অবদান রয়েছে। সে সময় তিনি আহত মানুষের সেবা-শুশ্রুষা করেছেন। সে সময় তিনি যশোর ক্যাথলিক চার্চে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি শিশুদের ইংরেজি শিক্ষা দিতেন। যুদ্ধ শুরু হলে লুসি ছাড়া অন্য সবাই স্কুল বন্ধ করে দিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে খুলনা চলে যায়।
ভয়ংকর ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও পাশের ফাতেমা হাসপাতালে যান লুসি। সেখানে যুদ্ধাহত বেসামরিক নাগরিকদের সেবা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা একজন বিদেশি নারীর এমন আগ্রহ দেখে অবাক হন। পরে তাকে এ বিষয়ে কাজ করার অনুমতি দেন। এরপর থেকে তিনি যুদ্ধাহত মানুষের সেবা শুরু করেন। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বরিশাল মহানগর পুলিশ মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখায় লুসিকে সম্মাননা দেয়।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D