আন্দোলন ও নির্বাচন দুটির জন্যই বিএনপি প্রস্তুত : মির্জা আব্বাস

প্রকাশিত: ৬:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০১৭

আন্দোলন ও নির্বাচন দুটির জন্যই বিএনপি প্রস্তুত : মির্জা আব্বাস

‘আন্দোলন ও নির্বাচন দুটোর জন্যই বিএনপি সমানভাবে প্রস্তুত আছে। এখানে কোন রকম কম্প্রোমাইজ করার সুযোগ নেই। একবার আপনারা ৫ জানুয়ারি কুত্তা মার্কা নির্বাচন করেছেন কিন্তু এবার মানুষ মার্কা নির্বাচন করতে হবে। সেই ধরনের নির্বাচন করা যাবে না। এবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রুপরেখা অনুযায়ী আপনাদেরকে নির্বাচন দিতে হবে এবং সেই নির্বাচনে দেশের মানুষ অংশগ্রহণ করবে।’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ আয়োজিত ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারন ফোরামের এই সদস্য বলেন, ‘আমরা দেশটাকে স্বাধীন করেছি পাকিস্তানিদের হাত থেকে। এখনও আমার মনে হয় দেশটাকে আবারও স্বাধীন করতে হবে। বাংলাদেশ এখন আর স্বাধীন নেই, আরও একটি যুদ্ধের প্রয়োজন আছে। কয়েক দিন আগে একজন বিদেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছিলেন তার বক্তব্য কথা-বার্তা কাজ কর্ম দেখে এবং ইদানিং সরকারের কথা-বার্তায় বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ এটা বোঝার সুযোগ নাই।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যুদ্ধ হল ক্ষমতায় ঠিকে থাকার আর আমাদের যুদ্ধ হল জনগণের কাছে হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়া। বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতেই হবে এমন কথা কখনও বিএনপি বলে না, ভাবেও না। কারণ, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন আর বেগম খালেদা জিয়া সেটিকে বিকশিত করেছেন। সেই গণতন্ত্র আজ হায়েনার কবলে। এই হায়েনার হাত থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়াই হল আমাদের সংগ্রামের মূল লক্ষ।’

জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ এর সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমত উল্লাহ প্রমুখ।

নির্বাচন ও খালেদা জিয়া-তারেককে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে আ.লীগ : আব্বাস
‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই দুর্নীতি করে, এজন্যই তাদের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতিবিদেরা দুর্নীতি করে, আমিও বলছি আওয়ামী লীগই দুর্নীতি করে বলেই ওবায়দুল কাদের সে কথা বলেছেন। মনে রাখতে হবে বিএনপি দুর্নীতি করেনা।’ বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

মির্জা আব্বাস আরো বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। দেশের মানুষের প্রয়োজনেই তিনি দেশে ফিরবেন। কেউ তাকে ঠেকাতে পারবেনা। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এই সরকার প্রমাণিত করতে পারেনি। আজকে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবার ও জনগণকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। এ জন্যই তারা আগামী নির্বাচন এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু এ কথা স্পষ্টভাবে বলছি- এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।

চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

জিয়া পরিষদের সভাপতি কবির মুরাদের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদ। এসময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাড. আবদুস সালাম আজাদ, জিয়া পরিষদের নেতা ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, জে. কিউ মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন প্রমুখ।

দলে দলে মানুষ বিএনপির পতাকা তলে আসছে: মির্জা আব্বাস
সাধারণ জনগণ দলে দলে বিএনপির পতাকা তলে আসছে।’ বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর শাহজাহানপুরের নিজ বাসভবনে ঢাকা ৮ ও ৯ সংসদীয় আসনে সদস্য নবায়ন ও প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘যেখানে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন চলছে; গ্রেপ্তার, গুম, হত্যা চলছে। ওই সময় সাধারণ মানুষ দলে দলে বিএনপির সদস্য হওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছে। এটা আমি মনে করি, স্পষ্টত শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ।’

মির্জা আব্বাস বলেন, নিম্ন আদালতের মতো উচ্চ আদালতকেও ক্ষমতাসীনরা নিজেদের হাতে রাখতে চায়। এ কারণে উচ্চ আদালতের বিচারকদের সংসদ কর্তৃক অভিসংশন সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আপিল বিভাগ খারিজ করাতে মনোকষ্টে সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা সংসদে এ নিয়ে সমালোচনা করছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট