২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৫১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০১৭
ফেইসবুক লাইভে এসে অঝোরে কাঁদলেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ খেতাব পেয়ে বাতিল হওয়া জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। সেখানে তিনি বলেন, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে তার লড়াই সংগ্রামের কথাও।
নানা জল্পনা কল্পনার ভেতর দিয়ে এগোচ্ছে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ নির্বাচন। সর্বশেষ নির্বাচিত জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলের বিয়ের খবর ফাঁস হওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচিত হয়েছে ঘটনাটি।
মঙ্গলবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে এসে অঝোরে কাঁদেন তিনি। বিয়ে ও ডিভোর্সের কথা স্বীকার করে নেন একসময় নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া জান্নাতুল নাঈম আমেনা। যদিও বিচারকদের দৃষ্টিতে প্রথম তালিকায় ছিলেন না এই সুন্দরী। শুধু তাই নয়; বিয়ের বিষয়টি আয়োজক প্রতিষ্ঠান ও বিচারকমন্ডলীদের জানা ছিল না।
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে তার বিয়ের সব গোপন তথ্য। অনানুষ্ঠানিকভাবে খেতাব বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান। এরপরই লাইভে এসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সুন্দরীর খেতাব কব্জা করে নেয়া জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল শুনালেন তার জীবনে ঘটে যাওয়া নানা কথা।
জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে কোনো বাধা বিপত্তিতে মাথানত করিনি। একটা ১৬ বছরের মেয়েকে তার বাবা জোর করে বিয়ে দিচ্ছে, সেই মেয়ে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসেছে। এখন সেই মেয়ে সাকসেসফুল। সে তার সমাজের কোনো কথা শোনেনি। আশপাশের কারো কথা কানে নেয়নি। তার একটাই উদ্দেশ্য ছিল, যেখানে ২০ কোটি মানুষের বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে একটি দৈনন্দিন ঘটনা, সেখানে বাল্যবিয়ে আমি মানতে পারিনি।
এভ্রিল বলেন, ১৬ বছরে বিয়ে দিলেই কোনো মেয়ের বিয়েটা হয় না। সেটা বাল্যাবিয়ে হিসেবে গণ্য। আমি চেয়েছিলাম সে সবের এগেইনেস্টে কাজ করার। আমি ডিভোর্সি, ফাইন, আমি একটা মেয়ে। এজ এ হিউম্যান আমার রাইট আছে, একটা ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটফর্মে গিয়ে নিজেকে প্রেজেন্ট করার। কই আমি তো নিজের জন্য কিছু চাইনি! আমি চেয়েছিলাম আপনাদের দেশের মেয়েগুলোকে জাস্ট দেখিয়ে দিতে যে, একটা মেয়ে চাইলে কী কী পারে।
খেতাব থেকে সটকে পড়া জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল বলেন, আমি ভেঙে পড়ার মেয়ে নই। ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর যে মুকুটটি ছিনিয়ে নেয়া হলো এতে আমার দুঃখ নেই। আমার ভিতরে যে অদৃশ্য মুকুট আছে তা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। আমি নিজেকে অনেক ভালোবাসি। আমি অনেক স্ট্রং। সবাইকে অনুরোধ করবো, সবাই আমার জন্য অনেক অনেক দোয়া করবেন।
এরপর বিভিন্ন সংবাদমাদ্যমে ও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে জান্নাতুল নাঈমের বিয়ের খবর। বিয়ের ছবি, ভিডিও, কাবিননামা ও স্বামীর একান্ত সাক্ষাৎকার প্রচার হয়, তাতে জান্নাতুল নাঈম আমেনার গোপন করা তথ্য একে একে রেরিয়ে আসতে থাকে। অবশেষে ফেসবুক লাইভে এসে সে কথাই স্বীকার করে নেন তিনি।
এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সুন্দরী আমেনাকে দেখে পছন্দ হয় সেখানকার এক যুবকের। পরীক্ষার পর বেশ ঘটা করেই পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আমেনার। অবশ্য জান্নাতুল নাঈম আমেনা ফেসবুক লাইভে সে কথা অস্বীকার করেন। তাকে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি। তবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ও তার বাবার কথায় জোর করে বিয়ে দেয়ার তথ্য মিথ্যাচার বলেই মনে হয়।
এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিয়ের যে ভিডিওটি প্রকাশ হয়েছে তাতে দেখা যায় তিনি নিজের ইচ্ছায় অনেক খুশি মনে বিয়ে করছেন। এত সবের পর সবার আর বুঝতে বাকি থাকে না যে, এগুলো তার সাজানো নাটক। জান্নাতুল নাঈম আমেনার স্বামী মনজুর উদ্দিন রানাও সে কথা বলেছেন।
বিয়ের ৮ লাখ টাকার কাবিননামায় উসুল ধরা হয় ৩ লাখ। ১৫ লাখ টাকা খরচায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ছিল বেশ জাঁকজমক। বিবাহবিচ্ছেদের পর জান্নাতুল নাঈম আমেনা হয়ে যান জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। এটাও একটা প্রতারণা, যা বাবা-মাকে অবজ্ঞা করা হয়েছে।
জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলের জন্ম চট্টগ্রামের একটি সাধারণ কৃষক পরিবারে। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার এভ্রিলের বাবা তাহের মিয়া। তারা দুই ভাই, দুই বোন।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D