সিলেটে সিএনজি পাম্পে আগুন, দগ্ধ ২ জনকে ঢাকার প্রেরণ

প্রকাশিত: ১০:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২৪

সিলেটে সিএনজি পাম্পে আগুন, দগ্ধ ২ জনকে ঢাকার প্রেরণ

সিলেট নগরীর পাঠানটুলার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দগ্ধ ৫ জনের মধ্যে গুরুতর দুইজনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো দুজন হলেন মতিউর রহমান (৬৫) ও মনতাজ (৩৫)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এম এ মান্নান।

তিনি জানান, সোমবার বেলা আড়াইটার দিকের তাদেরকে নিয়ে একটি এম্বুলেন্স সিলেট থেকে রওয়ানা দিয়েছে।

ডা. এম এ মান্নান বলেন, তাদের শরীরের প্রায় ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধ হয়েছে মুখমণ্ডল ও কণ্ঠনালী। যা বিপজ্জনক। যে কারণে, অবস্থা খারাপ হওয়ার আগেই তাদেরকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

এর আগে, রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর পাঠানটুলার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে ড্রেন সংস্কারের কাজ করছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের শ্রমিকরা। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে এক শ্রমিক পাম্পের রিফুয়েলিং মেশিনের কাছেই গ্রাইন্ডিং মেশিন দিয়ে রড কাটছিলেন। এসময় ছুটন্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ গিয়ে স্টেশনটিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি তেলবাহী ট্রাকের নিচে পড়লে সেখানে আগুন ধরে যায়।

অগ্নিকান্ডের পর সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে খবর দেওয়া হলেও ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই সিএনজি পাম্পের কর্মচারীরা স্টেশনটিতে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মাধ্যমে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তবে অগ্নিকান্ডে সিসিকের ৫ জন শ্রমিক দগ্ধ হন। এ পাঁচজনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অগ্নিদগ্ধরা হলেন- দগ্ধরা হলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের ঘাসিটুলা বেতেরবাজার এলাকার জাফর আলীর ছেলে মো. মনতাজ মিয়া (৩৫), একই এলাকার মঙ্গল মিয়ার ছেলে মো. লিটন মিয়া (২৫), মতি মিয়ার ছেলে মো. আলম মিয়া (২৩), মিছির আলীর ছেলে মো. মতি মিয়া (৬০), রজনি চন্দ্র দাসের ছেলে সুভাষ দাস (৫৫)।

দগ্ধদের মধ্যে ঘাসিটুলা বেতেরবাজার এলাকার জাফর আলীর ছেলে মো. মনতাজ মিয়া (৩৫) ও মিছির আলীর ছেলে মো. মতি মিয়ার (৬০) অবস্থার অবনতির কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের প্রধান, ডা. এম এ মান্নান জানান, অগ্নিদগ্ধ ৫ জনের মধ্যে ২ জনের শরীরের ৩৫ ভাগ পুড়ে গেছে। বাকি দুইজনের ৩০ ভাগ আর একজনের ২৮ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। পোড়ার পরিমাণ কম হলেও তাদেরকে গুরুতর হিসেবেই ধরে নিতে হবে।

এ ঘটনায় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট