বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে পড়ে টাকা খোয়ালেন সুজন

প্রকাশিত: ৭:২৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৪

বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে পড়ে টাকা খোয়ালেন সুজন

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান ও নগরীর টিলাগড় পয়েন্টের বইমেলা লাইব্রেরির মালিক মো. ফজলুর রহমান ফাহাদ (সুজন)। গত রোববার বিকেলে তার দোকানের ব্যবহৃত বিকাশ এজেন্ট ফোন নাম্বারে বিকাশ টেরিটরি অফিস বিটুবি’র টিলাগড় শাখার ফোন নাম্বার (০১৩১৮-২৪০৭৮০) হতে ফোন আসে। বিকাশ টেরিটরি অফিস বিটুবির টিলাগড় শাখার ম্যানেজার কয়েস আহমদ বলছি বলে ফোন আসে। তখন ওই কয়েস আহমদ সুজন বিকাশ এজেন্ট টু এজেন্ট লেনদেনের নতুন সুযোগ এসেছে এবং এটি চালু করার জন্য অফিস থেকে একজন স্যার ফোন দিবেন বলে জানায়। পরে ০১৮৮৪-৯৬৪৫৪৪ নাম্বার থেকে সুজনের এজেন্ট ফোন নাম্বারে (০১৬২৭-০৭৪০৭৩) একটি কল আসে। সে তখন সুজনকে বিকাশ এজেন্ট টু এজেন্ট লেনদেনের নতুন সুযোগ এসেছে বলে বিভিন্ন সুবিধা জানান এবং এর প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাকে দেখতে বলেন। এভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সুজনের বিকাশ থেকে একে একে ৩৪ হাজার ৪৮৮ টাকা নিয়ে যায় প্রতারক চক্র।

ঠিক এরকম ঘটনার স্বীকার হয়েছেন টিলাগড় এলাকার বিভিন্ন লাইব্রেরি ও দোকানিরা। সুজন প্রতারণার স্বীকার হয়ে পরদিনই সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরকমভাবে টিলাগড়ের ছাত্রবন্ধু লাইব্রেরির মালিক ইসলাম মিয়া, লাবীবা ট্রেডার্সের মালিক লাবু মিয়ার কাছেও একই নাম্বার থেকে ফোন আসে। তারা প্রতারক বুঝেই আর প্রতারণায় পা দেননি।

ছাত্রবন্ধু লাইব্রেরির মালিক ইসলাম মিয়া জানান, যখন আমাকে ফোন দেয়, তখন তার চাঁপে পড়ে বিশ্বাস করতে একপ্রকার বাধ্য হই। পরে সে বিভিন্ন সেটিং বলছিল আর আমাকে তা করতেও বলে। আমিও করছিলাম। পরে যখন সেটিং আসলো যে পিন পরিবর্তন, তখনই আমি সচেতন হয়ে যাই। যার কারণে আর তার ফাঁদে পা দেইনি।

মো. ফজলুর রহমান ফাহাদ (সুজন) জানান, ০১৩১৮-২৪০৭৮০ এই নাম্বারে আমরা টিলাগড় এলাকার সব ব্যবসায়ীরা টাকা লোড-আনলোড করি। গত রোববার যখন ফোন আসে, প্রথমে আমি বিশ্বাস করিনি। কিন্তু বারবার বলাতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই আমাকে তাদের কথা শুনতে হয়। তারা বলে যে, আমার এজেন্ট বন্ধ করে দিবে। সেজন্য আমি আরো ঘাবড়ে যাই। পরে মুহূর্তেই আমার বিকাশের সব টাকা সে নিয়ে যায়।

দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শাহপরাণ এলাকার বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার নাইমুজ্জামান কয়েস বলেন, এভাবে বিকাশ থেকে কল করার কোনো প্রশ্নই আসে না। বিকাশের কোনো দরকার হলে তারা মেসেজে জানিয়ে দিবে যে নিকটস্থ বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করার জন্য। আমরা এর আগে ট্রেনিংয়েও তাদের এসব বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছি। এরকম ফোন নাম্বার হ্যাক করে সারাদেশেই প্রতারক চক্র প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ফাঁদে পড়ে তিনি এই প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন।

সাধারণ ডায়েরির তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া শাহপরাণ থানার এসআই ইমরান হোসেন জানান, এর তদন্ত চলছে। প্রতারক চক্রদের খুঁজে বের করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট