ফেঞ্চুগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবলীগের টেন্ডার ছিনতাই

প্রকাশিত: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪

ফেঞ্চুগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবলীগের টেন্ডার ছিনতাই

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানিতে টেন্ডার ছিনতাই ও ঠিকাদার অবরুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।

সারকারখানার তালিকাভুক্ত ঠিকাদার মেসার্স হাজী আব্দুল করিম এন্ড সন্স এর স্বত্বাধিকারী আব্দুল ওয়েছ স্বপন ১৭ জানুয়ারী বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ফেঞ্চুগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে, আব্দুল ওয়েছ স্বপন বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির আহবানকৃত দরপত্রের জমাদানের শেষ সময় ছিল। একজন ঠিকাদার হিসেবে সিডিউলে বর্ণিত ৪ নাম্বার সিরিয়ালের ‘ইউরিয়া ফরমালডিহাইডের খালি প্লাস্টিকের ড্রাম’ এই কাজের জন্য তিনি ড্রামপ্রতি ১ হাজার ৬৫ টাকা সিডিউলে দর উল্লেখ করে জামানতের পে-অর্ডারসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে সারকারখানার প্রশাসনিক ভবনে রক্ষিত টেন্ডার বক্সে প্রদান করেন তিনি। এ সময় ফেঞ্চুগঞ্জের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও তাঁতিলীগের নেতৃত্বদানকারী নেতাকর্মীরা চোখের সামনে সিডিউল বক্সের তালা ভেঙে জমাকৃত সিডিউল ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং আমাকে একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল অবরুদ্ধ কক্ষ থেকে আমাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী পালবাড়ি পয়েন্ট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে যান।

ঠিকাদার আব্দুল ওয়েছ স্বপন লিখিত বক্তব্যে ছিনতাইকারী হিসেবে যাদের নামোল্লেখ করেছেন তারা হলেন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম আহমদ শাহ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল ইসলাম চৌধুরী মিছলু, সদস্য পারভেজ আহমদ, উপজেলা তাঁতী লীগের যুগ্ম আহবায়ক জাবেদুর রহমান ডেনেছ, সদস্য সচিব রাসেল আহমদ শাহ, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রেজান আহমদ শাহ, যুগ্ম আহবায়ক নাইমুর রহমান নাঈম, যুগ্ম-আহবায়ক মাহাদুল ইসলাম মাহাদ ও দেওয়ান ফাহিম আহমদসহ সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ।

ফেঞ্চুগঞ্জের ইতিহাসে ঠিকাদার অবরুদ্ধ ও টেন্ডার ছিনতাইয়ের মতো অতীতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেনি দাবি করে এর তীব্র নিন্দা জানান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসীর প্রতি শাহজালাল সারকারখানাকে ছিনতাই ও দুর্নীতিমুক্ত রাখারও জোর দাবি জানিয়েছেন ঠিকাদার আব্দুল ওয়েছ স্বপনসহ উপস্থিত ঠিকাদাররা।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সারকারখানার ঠিকাদার নজরুল ইসলাম মালেক, গোবিন্দ দাস, আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ।

এ ব্যাপারে ওসি (তদন্ত) আরিফ হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছেন, তবে কাউকে উদ্ধার করার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি।

এ ব্যাপারে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াবুল হোসেন বক্সের তালা ভেঙে সিডিউল ছিনতাইয়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনাটি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে এবং টেন্ডারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। কোন ঠিকাদারকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবহিত নন, তবে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সাহেব একজন ঠিকাদারকে সিএনজি অটোরিকশাতে তুলে দিয়েছেন বলে ওসি তদন্ত সাহেব আমাকে জানিয়েছেন।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট