শীতে কাবু চা শ্রমিক ও নিম্ম আয়ের মানুষ : জনজীবনে চরম দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪

শীতে কাবু চা শ্রমিক ও নিম্ম আয়ের মানুষ : জনজীবনে চরম দুর্ভোগ

গত কয়েকদিনের প্রচ- ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছেন চা শ্রমিক ও নিন্ম আয়ের লোকজন। অভাব দেখা দিয়েছে গরম কাপড়ের। জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।

বুধবার শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জানা যায়, চা বাগান ও বনাঞ্চল অধ্যুষিত থাকায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় শীতের প্রাদুর্ভাব থাকে বেশি। প্রচন্ড শীতে কাবু হয়ে পড়ছেন চা শ্রমিকসহ নিন্ম আয়ের পরিবারের সদস্যরা। এদের মধ্যে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে রোগীর ভীড় বাড়ছে। দরিদ্র পরিবার সদস্যদের মধ্যে গরম কাপড়েরও অভাব রয়েছে। গত তিন, চারদিন ধরে দিনভর কূয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ ছিল। রোদের আলো দেখা যায়নি। বুধবার সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং মঙ্গলবার ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বুধবার হাসপাতালে ২০ জন শিশু রোগীর মধ্যে ১৪জনই ঠান্ডায় আক্রান্ত ছিল। তাছাড়া চা বাগানসহ দরিদ্র পরিবার সদস্যদের মধ্যে রোগের প্রকোপ বেশি।

গাছ গাছালি ও সবুজে ঘেরা থাকায় চা বাগান সমুহে সাধারণত শীত, মৃদু বাতাস ও কূয়াশাও তুলনামূলক বেশি থাকে। ফলে প্রচ- ঠা-ার সময়ে কাবু হয়ে পড়েন চা শ্রমিকদের একটি বৃহদ অংশ। পর্যাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে হাড় কাঁপানো শীতে তারা খুবই কষ্টে দিনযাপন করছেন।

চা শ্রমিকরা জানান, স্বল্প আয় থাকায় গরম কাপড় কেনা তাদের অধিকাংশেরই সামর্থ্যের বাইরে। শীত নিবারনে এসব পরিবার সদস্যরা ঘরের ভেতরে ও বাইরে খড়খুঁটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শরীরে গরমের ভাপ লাগান।

শমশেরনগর কানিহাটি চা বাগানের শ্রমিক নেতা সীতারাম বীন বলেন, প্রচ- শীতে চা বাগানে শিশু ও বয়স্করা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। গরম কাপড়রেও যথেষ্ট অভাব রয়েছে। ঠান্ডায় চা বাগানে রোগব্যাধীও বাড়ছে। তিনি কোম্পানীর পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের দাবি জানান।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শুকতারা এ্যানি বলেন, হাসপাতালে ভর্তির অধিকাংশই ঠান্ডাজনিত রোগী। এদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে শিশু রোগী সবচেয়ে বেশি।