‘হলফনামার বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যানের ভাষ্য অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়’

প্রকাশিত: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২৪

‘হলফনামার বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যানের ভাষ্য অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়’

Manual7 Ad Code

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় আসা এমপি প্রার্থীদের বহুগুণ সম্পদের সংবাদে ও হলফনামা নিয়ে টিআইবি’র প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির এক জরুরী সভা গত ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরের বন্দরবাজারের কুদরত উল্লাহ মার্কেটের অস্থায়ী কার্যালয়ের অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় হলফনামায় শুধু প্রার্থীদের সম্পদ ভাড়েনি তার সাথে ১১ মন্ত্রীর স্ত্রী ও এক মন্ত্রীর স্বামীর সম্পদ বেড়েছে ৩০ কোটি টাকা। হলফনামায় স্ত্রীর সম্পদের তথ্য দেননি ৯ জন মন্ত্রী। এ বিষয়ে নয়-ছয় গোপনিয়তা রাখা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশ অর্থ-সম্পদে ভারী হয়েছেন এমপিরা।

সিপিডি কর্তৃক আর্থিকখাতে গবেষণা করে প্রতিবেদনে বলেছে, ১৫ বছরে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট। ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ২০০০ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসার খবর হলফনামায় গোপন করেছেন।

Manual3 Ad Code

নেতৃবৃন্দ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় আসা এমপি প্রার্থীদের অস্বাভাবিক সম্পদ বাড়ার তথ্যে দুদক চেয়ারম্যান মোঃ মাঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ’র বক্তব্য দুর্নীতিবাজদের উৎসাহিত করবে ও অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনকারী মন্ত্রী, এমপি ও তাদের স্ত্রীগণ নিরাপদ হয়ে যাবে।

সভায় হলফনামার বিষয়ে টিআইবি’র বিশ্লেষণকে রাজনৈতিক বক্তব্য না দিয়ে মানুষরূপী এই জানোয়ার ও জাতীয় শত্রুদের কিভাবে দমন করা যায় এটা এখন জনগণের দেখার বিষয়। বাংলাদেশ আজ দু’টি বিষয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছে। এক. কোটিপতি উৎপাদনে, দুই. বিদেশে টাকা পাচারে।

Manual1 Ad Code

সংসদ সদস্য পদপ্রর্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই কোটিপতি এবং যারা নির্বাচনে দাড়িয়েছেন তাদের বেশির ভাগই পেশা হচ্ছে ব্যবসা। অর্থাৎ সংসদ হতে যাচ্ছে কোটিপতি ব্যবসায়ীদের ক্লাব। অথচ আগের দিনে জমিদারের সন্তান হোসাইন শহীদ সোরওয়ার্দী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক এর মত অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তিগণ রাজনীতি করতে গিয়ে দরিদ্র হয়ে পড়েছেন। এখন তা সম্পূর্ণ উল্টো। রাজনীতি করে কোটিপতি হচ্ছেন।

Manual3 Ad Code

নেতৃবৃন্দ হলফনায় আসা বহুগুণ সম্পদের এমপি প্রার্থীদের বিষয়ে দেশের গ্রহণযোগ্য অর্থনীতিবিদদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটির মাধ্যমে আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানানো হয়। অন্যথায় নির্বাচনের পর রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা নেছারুল হক চৌধুরী বুস্তানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জননেতা মকসুদ হোসেনের পরিচালনায় কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন রশীদ এডভোকেট, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ অরুণ কুমার দেব, কেন্দ্রীয় সিনিয়র সদস্য সরোজ ভট্টাচার্য্য, যুবফোরামের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা ইসমত ইবনে ইসহাক সানজিদ, সাংবাদিক শহিদ আহমদ খান, দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ নুর আহমদ জুনেদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির কিবরিয়া সিরাজী, মোঃ মিনহাজুর রহমান লিমন, মোঃ কামরুল হোসেন সাজাদ। বিজ্ঞপ্তি


 

Manual7 Ad Code

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code